ফতেহপুর: উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের রাজ্যে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সাম্প্রতিককালে সকলের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মুসলিম যুবক মোহাম্মদ ফাইজান নামক এক ব্যক্তি হিজাব বা বোরখার ছদ্মবেশে পার্কে ঘুরে হিন্দু মেয়েদের শ্লীলতাহানি করত এবং তাদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ফাঁদে ফেলার চক্রান্ত চালাত। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, যার ফলে এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের একটি শান্তিপূর্ণ শহরের একটি জনপ্রিয় পার্কে। এই পার্কটি স্থানীয় যুবতীদের বিনোদন এবং বিশ্রামের জায়গা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে এখানে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছিল। বোরখা পরা এক ‘মহিলা’ ক্রমাগত হিন্দু মেয়েদের কাছে যেত, তাদের সাথে কথা বলত এবং কখনও কখনও অশ্লীল আচরণ করত। প্রথমে সবাই ভেবেছিল এটি কোনও মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকা মহিলার কাজ।
নেতৃত্ব প্রদর্শনে ভারত, MIS ওয়ার্কশপে বৃদ্ধি পাবে সহযোগিতা, একত্রিত হবে ২৯টি দেশ
কিন্তু ধীরে ধীরে সন্দেহের ছায়া পড়তে শুরু করে। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলি, যেমন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সদস্যরা, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন। তারা পার্কের চারপাশে নজর রাখতে থাকেন এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন।একদিন, সেই সন্ধ্যায় যখন পার্কে যুবতীরা হাঁটাহাঁটি করছিলেন, তখন আবার সেই ‘বোরখা পরা মহিলা’ দেখা গেল। এবার সে একটি হিন্দু কলেজছাত্রীর কাছে গিয়ে তার হাত ধরে টানতে শুরু করে এবং ফিসফিস করে কথা বলতে শুরু করে।
মেয়েটি ভয় পেয়ে চিৎকার করতেই সংগঠনের সদস্যরা ছুটে এলেন। তারা ‘মহিলা’টিকে ঘিরে ফেললেন এবং বোরখা খুলে ফেলার চেষ্টা করলেন। ঘটনাচক্রে বোরখার নিচে থেকে বেরিয়ে এল একটি যুবকের মুখ—মোহাম্মদ ফাইজান! তার পরিচয় জানার পর সকলে হতবাক। ফাইজান, যার বয়স মাত্র ২২ বছর, স্থানীয়ভাবে একজন ছোট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু তার এই দ্বৈত জীবন কারুর অজানা ছিল।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফাইজান স্বীকার করেছে যে সে গত ছয় মাস ধরে এই ছদ্মবেশে কাজ করছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল শুধু শ্লীলতাহানি নয়, বরং হিন্দু মেয়েদেরকে ‘লাভ জিহাদ’-এর ফাঁদে ফেলা। সে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করত, তাদেরকে ধর্মান্তরণের প্রলোভন দিত এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তাদেরকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, কমপক্ষে পাঁচজন মেয়ে তার এই চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। একজন মেয়ে বলেছেন, “সে আমার সাথে কথা বলে আমাকে বিশ্বাসে ফেলেছিল। কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল অন্য। ভাগ্যক্রমে আমরা পালিয়ে যাই।” এই স্বীকারোক্তি শুনে সমাজে ক্রোধের সঞ্চার ঘটেছে।যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার নারী নিরাপত্তা এবং ধর্মান্তরণ রোধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে।
‘লাভ জিহাদ’ আইনের অধীনে এমন অপরাধগুলি দমন করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পুলিশ দ্রুত এফআইআর দায়ের করেছে আইপিসি-এর ধারা ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি), ৫০৬ (ধমকি) এবং ধর্মান্তরণ রোধ আইনের অধীনে। ফাইজানকে আদালতে হাজির করার পর জজ সঙ্গে সঙ্গে তার জামিন অস্বীকার করে জেলে পাঠিয়ে দেন। স্থানীয় থানা ইনচার্জ বলেছেন, “আমরা এখন তার সহযোগীদের খোঁজ করছি। এটি একক ঘটনা নয়, একটি নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারে।”
