‘লাভ জিহাদ’ রুখতে উত্তরপ্রদেশে আরও কড়া শাস্তি যোগী সরকারের

ধর্মান্তকরণের অপরাধে উত্তরপ্রদেশে শাস্তি আরও কড়া হতে চলেছে। এসব অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি কার্যকর করতে চাইছে সরকার, সঙ্গে ৫ লাখ টাকা অর্থজরিমানা। সোমবার…

Yogi govt announces tougher punishment in Uttar Pradesh to stop Love Jihad

ধর্মান্তকরণের অপরাধে উত্তরপ্রদেশে শাস্তি আরও কড়া হতে চলেছে। এসব অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি কার্যকর করতে চাইছে সরকার, সঙ্গে ৫ লাখ টাকা অর্থজরিমানা। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বেআইনি ধর্মান্তর নিষেধাজ্ঞা (সংশোধনী) বিল ২০২৪ পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ খান্না। তাতেই এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়ে যোগী সরকার ও বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলকে একটি ‘বিভাজনমূলক’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশ যাদবদের অভিযোগ, ওই বিল আইনে পরিণত হলে সমাজে বিদ্বেষ আরও বাড়বে। পাল্টা বিজেপির দাবি, অবৈধ ধর্মান্তর মোকাবেলায় এই বিল ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।

   

উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তর নিষেধাজ্ঞা (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর বিধান অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি হুমকি দেয়, আক্রমণ করে, বিয়ে করে বা বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় বা এর জন্য ষড়যন্ত্র করে, ধর্মান্তরের চেষ্টায় কোনও মহিলা, নাবালিকা বা কাউকে পাচার করে, তাহলে অভিযুক্তের অপরাধকে সবচেয়ে গুরুতর বলে বিবেচনা করা হবে। সংশোধিত বিলে এ ধরণের মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে, এই অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

বিধ্বস্ত ওয়েনাডে মৃত্যু ১০০ ছুঁই ছুই, দাদার পুরনো কেন্দ্র দেখতেই আসরে প্রিয়াঙ্কা

সংশোধিত বিধানের অধীনে, এখন যে কোনও ব্যক্তি ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে এফআইআর নথিভুক্ত করতে পারেন। আগে অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তি, তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোনের উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন এর পরিধি আরও প্রশস্ত করা হয়েছে। এখন যে কেউ এ বিষয়ে লিখিতভাবে পুলিশকে তথ্য দিতে পারবেন।

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা! বিরোধীদের ‘বাজেটে জবাব’ নির্মলার, অস্ত্র সেই UPA আমল

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ‘লাভ জিহাদ’ রোধ করার অভিপ্রায় নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা হিন্দু সংগঠনগুলোর দ্বারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগে সীমাবদ্ধ একটি শব্দ বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

২০২০ সালের নভেম্বরে ধর্মান্তকরণ রোধে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল এবং পরে, উত্তর প্রদেশ আইনসভার উভয় কক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পরে, উত্তরপ্রদেশের ‘বেআইনি ধর্মান্তর আইন-২০২১’ কার্যকর হয়েছিল।