উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শনিবার লখনৌতে ‘মিশন শক্তি-৫.০’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে তিনি রাষ্ট্রে ২০১৭ সালের পর থেকে মহিলাদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও পুষ্টি ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে তা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার সময় শেষ। এখন আমরা তাদের ক্ষমতায়নকে প্রাধান্য দিচ্ছি।”
২০১৭ সালের চ্যালেঞ্জ এবং বর্তমান সাফল্য:
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি স্মরণ করান যে, ২০১৭ সালের আগে রাজ্যের কন্যা সন্তানেরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিল। নিরাপত্তা হুমকি, চাকরি ও শিক্ষায় সীমাবদ্ধতা ছিল সাধারণ। সেই সময়ের চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষার্থী আজ উচ্চশিক্ষার পথে এগোতে ট্যাবলেট হাতে পেয়ে এগোচ্ছে। ২০১৭ সালে কন্যারা নিরাপদ ছিল না। তাদের চাকরি ও শিক্ষা হুমকির মুখে ছিল। স্কুল ও আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোর অবস্থা ভয়াবহ ছিল। আজ আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো গরম খাবার ও পুষ্টি সরবরাহ করছে। এই কর্মসূচি কোনও দুর্নামের কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিচালিত হয় না; এটি আমরা লড়াই করে এনে দিয়েছি।”
আদালতের মাধ্যমে দীর্ঘ লড়াই এবং মহিলাদের স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপের ভূমিকা:
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন মাফিয়া গোষ্ঠীর আক্রমণের মুখে এই যুদ্ধ চালিয়েছি। তবে আমরা এই লড়াই আদালতের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে গেছি এবং মহিলাদের স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করেছি। এটি কেবল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে না, বরং পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও শক্তিশালী করছে।”
নতুন ধাপের মিশন শক্তি-৫.০:
মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মিশন শক্তি কার্যক্রমের নতুন ধাপ ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া শারদীয় নবরাত্রির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৩০ দিন চলবে। ২০২০ সালে এর সূচনা থেকে মিশন শক্তি রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইতিমধ্যেই চারটি সফল পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে এবং এই নতুন ধাপের মাধ্যমে কার্যক্রমের পরিধি ও প্রভাব আরও বাড়ানো হবে।
প্রশাসনিক নির্দেশনা ও নিরাপত্তা জোরদার:
সেপ্টেম্বর ১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যে, নতুন অভিযানটি আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে বিস্তৃত কর্মসূচি হিসেবে চালানো হবে। বিশেষভাবে পদচারণা বৃদ্ধি, পিআরভি-১১২ যানবাহন সর্বদা সক্রিয় রাখা এবং মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মিশন শক্তির লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
মিশন শক্তি-৫.০-এর মূল লক্ষ্য হল রাজ্যের মেয়েদের নিরাপত্তা, শিক্ষাগত সুযোগ বৃদ্ধি এবং পুষ্টির মান উন্নত করা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে এই উদ্যোগ রাজ্যের মহিলাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং নারী ক্ষমতায়নকে আরও শক্তিশালী করবে।