Yamuna Crosses Warning Mark: টানা বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে ফুঁসছে যমুনা নদী। বৃহস্পতিবার বিপদসীমা ছাড়িয়েছে নদীর জল। জানা যাচ্ছে এ দিন দিল্লির পুরনো রেলওয়ে ব্রিজে জলস্তর পৌঁছেছে ২০৪.৮৮ মিটার। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। রাজধানীতে বন্যা-পরিস্থিতির আশঙ্কায় সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।
গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র: পুরনো রেলওয়ে সেতু (Old Railway Bridge)
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পুরনো রেলওয়ে সেতুতে যমুনা নদীর জলস্তর পৌঁছে যায় ২০৪.৮৮ মিটারে। এই জায়গাটি নদীর প্রবাহ এবং বন্যার ঝুঁকি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দিল্লিতে যমুনা নদীর বিপদসীমা ২০৪.৫ মিটার এবং বিপদ চিহ্ন ২০৫.৩ মিটার। জলস্তর ২০৬ মিটার ছুঁলেই এলাকা খালি করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
হথনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে ছাড়া হচ্ছে অতিরিক্ত জল
সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে হরিয়ানার হথনিকুন্ড ব্যারেজ (Hathnikund barrage) থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার ফলেই জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।
এই বর্ষার মরসুমে এই প্রথম ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ৫০,০০০ কিউসেক ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভোর ৬টায় যা সর্বোচ্চ ৬১,০০০ কিউসেক হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৫০,০০০ কিউসেক করে জল ছাড়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে হথনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে ছাড়া জল দিল্লি পৌঁছাতে ৪৮ থেকে ৫০ ঘণ্টা লাগে।
মৌসুমি বায়ুর প্রকোপে উত্তর ভারত
বর্তমানে মৌসুমি বায়ুর কারণে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে দেশের বেশ কয়েকটি অংশে বেড়ে গিয়েছে নদীর জলস্তর, তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি এবং দেশের একাধিক এলাকা জলমগ্ন।
উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে বন্যা-পরিস্থিতি। একাধিক এলাকা প্লাবিত, ড্রেনের জল উপচে পড়ছে। ফলে ব্যাহত জনজীবন। বৃষ্টির এই প্রভাব মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রসাশন।
বারাণসীতে গঙ্গা বিপদসীমার কাছাকাছি
হিমালয় এবং সমতল অঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টির ফলে বারাণসীতে গঙ্গা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের মতে শনিবারের মধ্যে নদীর জলস্তর পৌঁছায় ৬৯.৯৮ মিটারে, যা ৭১.২৬ মিটারের বিপদসীমার কাছাকাছি।
তুলসী ঘাটের উপরের ধাপে পৌঁছে গেছে বন্যার জল। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আধিকারিকরা গঙ্গায় সমস্ত নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এই এলাকায় এখনও বৃষ্টিপাতের ফলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন।