মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। মিজোরাম পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে পাচারকারীদের উদ্দেশ্য বানচাল হয়ে যায়। মায়ানমার থেকে অস্ত্র পাচার হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকায় পৌঁছানোর জন্য এই ছককশা চলছিল।
পাচারকারীরা নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারেনি। পুলিশ ও গোয়েন্দার যৌথ বিভাগ (Mizoram Arms Recovery) এই পাচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মিজোরাম পুলিশ গতকাল জানিয়েছে,’প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা আসলে মায়ানমারের চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এবং ইউনাইটেড পিপল’স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-পি)-এর মধ্য়ে হতে চলা এক ব্যবসায়িক লেনদেনের অংশ ছিল। ইউপিডিএফ-পি নামক এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।’
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সিএনএফ-এর একজন উল্লেখযোগ্য নেতাও রয়েছে। মিজোরাম রাজ্য়ে বিচ্ছিন্নতা-বিরোধী যেকোনও অভিযানে এমন কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারাটা একটা বিরাট সাফল্য।’এই অভিযানটি মিজোরামের মামিত জেলার পশ্চিম ফেইলেং থানার সাইথা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত হয়।
মিজোরাম পুলিশের যৌথ অভিযান (Mizoram Arms Recovery)থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র এবং বিস্ফোরকের পরিমাণ গত কয়েক বছরে এক অন্যতম বৃহৎ ঘটনা। এই ঘটনায় পুলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, এই অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং অস্ত্র পাচারকারীরা গোপনে অস্ত্র পাচারের একটি নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে। যা শুধু মিজোরাম নয়,পুরো দেশ ও সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণ মিজোরামের জন্য একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আরও স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে যে, এই অঞ্চলের সীমান্তের মাধ্যমে অস্ত্র পাচারের কাজ চলে আসছে। এ ছাড়া, একাধিক আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে, এটি শুধু মিজোরামের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য নয়, পুরো দেশের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এই ঘটনার পরে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে,পুলিশ বাহিনী তদন্ত চালাচ্ছে। এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ যাতে ভবিষ্যতে আবার শিকড় গেড়ে বসতে না পারে সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন তারা।