কড়া পুলিশি পদক্ষেপের পরও সাক্ষী মালিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আন্দোলন থামছে না। যন্তরমন্তর চত্বরে বিক্ষোভ চলবে।“
তাঁবু, চাদর, ম্যাট, কুলার, স্পিকার- যা যা কস্তিগীররা গত কয়েক সপ্তাহে যন্তরমন্তরে এনেছিলেন, তা সমস্ত দলামচা করে টেম্পো-ট্রাকের করা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের সমস্ত চিহ্ণ কার্যত মুছে দিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভের চিহ্ণ সাফ করার আগেই আটক করা হয় ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়াকে সহ অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের। নতুন সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করা যাচ্ছিলেন যেখানে একটি মহিলাদের মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়।
অভিযান শেষ দিল্লি পুলিশ দাবি করলেও কস্তিগীররা জানিয়ে দিয়েছেন তারা সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে ফের শুরু করবেন তাদের বিক্ষোভ।
রবিবার সাক্ষী মালিক ট্যুইট করে জানানা, “আমাদের পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়া হলেই আমরা ফের আমাদের সত্যাগ্রহ শুরু করব যন্তরমন্তরে। এবার দেখা যাবে মহিলা কুস্তিগীরদের সত্যাগ্রহ…একনায়কতন্ত্র নয়।“
আরেকজন কুস্তিগীর ট্যুইটে লেখেন, “আমরা হাল ছাড়ব না। পুনিয়ে এবং অন্যান্যদের এখনও আটক করে রেখেছে। তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেই আমরা আবার ফেরত গিয়ে আমাদের প্রতিবান পুনরায় শুরু করব। ওরা দিক আমাদের জিনিসপত্র সরিয়ে।“
রবিবারের ঘটনায় এই মুহূর্তে দেশ তোলপার। যখন একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করছেন, আরেক দিকে বাইরের ছবি দেখে গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে কস্তিগীররা যন্তরমন্তর থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু হুলুস্থুল কাণ্ড পরে যায় সেখানে যখন দিল্লি পুলিশ তাঁদের আটক করে এবং ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকায়।