Delhi: যৌন হেনস্থার অভিযোগে আন্দেলনরত বিশ্বজয়ী কুস্তিগীররা আটক, দুনিয়া জুড়ে চাঞ্চল্য

অলিম্পিক পদক জয়ী ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন একাধিক কুস্তিগীরের পুলিশ হেফাজত বিশ্বে চাঞ্চল্য ফেলে দিল। ক্রীড়া ইতিহাসে একসাথে একইদিনে এতজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের হেফাজত বিশ্বে বেনজির ঘটনা। পদকধারী…

Wrestlers clash with Delhi Police

অলিম্পিক পদক জয়ী ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন একাধিক কুস্তিগীরের পুলিশ হেফাজত বিশ্বে চাঞ্চল্য ফেলে দিল। ক্রীড়া ইতিহাসে একসাথে একইদিনে এতজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের হেফাজত বিশ্বে বেনজির ঘটনা।

পদকধারী কুস্তিগীরদের অভিযোগের নিশানায় বিজেপি ঘরের লোক বলে পরিচিত ব্রিজভূষণ। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে দিল্লির যন্তরমন্তরে চলছিল কুস্তিগীরদের বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ হটিয়ে দিল পুলিশ। কুস্তিগীর ও পুলিশের মল্লযুদ্ধে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান।

   

ব্রিজভূষণকে পদচ্যুত ও গ্রেফতারির দাবিতে অনড় কুস্তিগীররা বারবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বার্তা দেন। চলে অবস্থান বিক্ষোভ। রবিবার তাঁরা নতুন সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

পিটিআই জানাচ্ছে, প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের আটক করেছে পুলিশ। দিল্লির আইন ও শৃঙ্খলার বিশেষ সিপি দেবেন্দ্র পাঠক জানান, আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। আমরা যথাসময়ে তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ভিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়াকে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়। কুস্তিগীরদের বাসে ঠেলে দিয়ে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

যন্তর মন্তরে বিক্ষোভের স্থান থেকে কুস্তিগীরদের জিনিসপত্র সহ খাট, তোষক, কুলার ফ্যান এবং ত্রিপল সরিয়ে বিক্ষোভের স্থানটি পরিষ্কার করা হ়য।

চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীররা গত ২৪ এপ্রিল কুস্তি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউএফআই) প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন পুনরায় শুরু করেছিলেন।

পিটিআই জানাচ্ছে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। এর জন্য লুটিয়েন্স দিল্লিতে হাজার হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল এবং একাধিক স্তরের ব্যারিকেড ছিল। কুস্তিগীররা, ​​সংসদ ভবন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে যন্তর মন্তরে একটি অবস্থান প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল যে কোনও মূল্যে তারা তাদের ‘মহাপঞ্চায়েত’ নিয়ে এগিয়ে যাবে। পুলিশ জানিয়েছিল যে কোনও প্রতিবাদকারীকে সংসদের দিকে যেতে দেওয়া হবে না কারণ তাদের ‘মহাপঞ্চায়েত’-এর অনুমতি দেওয়া হয়নি।