নয়াদিল্লি: একদিকে ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক-বাণে জর্জরিত ভারত, অন্যদিকে জাপানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বললেন, “আজ বিশ্ব শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, ভারতের উপর ভরসাও করছে”। শুক্রবার ভোররাতে জাপানে পা রাখেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ইন্দো-জাপান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে ভারতের বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সম্ভাবনা নিয়ে ভাষণ দেন তিনি।
উন্নতির পথে ভারত সর্বদা জাপানকে “বন্ধু” হিসেবে পেয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মেট্রোরেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, অর্ধপরিবাহী এবং স্টার্টআপ স্থাপনের ক্ষেত্রে জাপানি সংস্থাগুলি ভারতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে”। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি ভারতকে “মৃত অর্থনীতি”র দেশ বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর জাপানের মাটিতে দাঁড়িয়ে “বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ভারতের ১৮% অবদান রয়েছে” বলে ট্রাম্পকেই জবাব দিয়েছেন মোদী বলে ধারণা করা হচ্ছে। “ভারত বর্তমানে অন্যতম দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে বর্ধনশীল দেশ এবং খুব শীঘ্রই আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হব”, বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে লগ্নির সম্ভাবনা নিয়ে কি বলেন মোদী?
ভারত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), অর্ধপরিবাহী, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, জৈব প্রযুক্তি ছাড়াও মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশের পর নিউক্লিয়ার এনার্জির ক্ষেত্রেও আমরা ‘প্রাইভেট প্লেয়ার’ (বেসরকারি খাতের লগ্নিকারি)-দের জন্য দরজা খুলতে চলেছি।” জাপানের প্রযুক্তি এবং ভারতের মেধা একত্রিতভাবে এই শতাব্দীর প্রযুক্তি বিপ্লবে নতুন ইতিহাস গড়তে পারে বলে আশাবাদী তিনি। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিনিয়োগকারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভারতে মূলধন কেবল বৃদ্ধি পায় না, তা বহুগুণে বাড়ে”।
বলা বাহুল্য, শুল্ক নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপড়েনের মাঝে টোকিওর সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চাইছে নয়াদিল্লি। অর্থনীতির পাশাপাশি এশিয়ার অন্যতম দুটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ নিজেদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটি প্রধানমন্ত্রীর অষ্টমতম জাপান সফর।