মহিলাদের একা দেখলেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে ‘ন্যুড গ্যাং’! আতঙ্ক এলাকায়

লখনউ: বিবস্ত্র হয়ে এসে মহিলাদের তুলে সুনসান জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে! “নগ্ন গ্যাং”-এর আতঙ্কে ঘুম উড়েছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দাউরালা গ্রামের মহিলাদের! এই নিয়ে চতুর্থবার এই নগ্ন…

মহিলাদের একা দেখলেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে 'ন্যুড গ্যাং'! আতঙ্ক এলাকায়

লখনউ: বিবস্ত্র হয়ে এসে মহিলাদের তুলে সুনসান জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে! “নগ্ন গ্যাং”-এর আতঙ্কে ঘুম উড়েছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দাউরালা গ্রামের মহিলাদের! এই নিয়ে চতুর্থবার এই নগ্ন গ্যাং-এর হানায় কপালে ভাজ পড়েছে পুলিশের। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে এই নগ্ন গ্যাং-এর তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ভারালা গ্রামের এক মহিলাকে কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুজন নগ্ন পুরুষ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোনোক্রমে তাদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে গ্রামের উদ্দশ্যে দৌড়ন ওই মহিলা। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জায়গাটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে।

   

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ধরে পড়ে না অপরাধীরা। মহিলাকে ওই দুই ব্যক্তির বিবরণ চাওয়া হলে তিনি জানান, যে ওই দুজনের শরীরে পোশাকের লেশমাত্র ছিল না। ঘটনায় এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে কাজ ছেড়ে দেন ওই মহিলা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই নিয়ে চতুর্থবার এমন ঘটনা ঘটল। লোকলজ্জার ভয়ে এর আগের তিনবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি অত্যাচারিত মহিলারা।

Advertisements

গ্রামপ্রধান রাজেন্দ্র কুমার বলেন, “গ্রামবাসীরা প্রথমে বিষয়টিকে অত গুরুত্ব দেয়নি। তবে এবার নগ্ন-গ্যাং এর আতঙ্কে রীতিমত রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামের মহিলাদের। কেননা, কেবলমাত্র মহিলাদেরকেই সুনসান জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়েছে ওই গ্যাং।” গত শনিবার এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। গ্রামের বাইরের সব মাঠ, জমি খতিয়ে দেখা হয়। একাধিক এলাকায় বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা।

বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতিতে ড্রোন উড়িয়েও তল্লাশি চালানো হয়। তবে বরিষ্ঠ পুলিশ সুপার বিপিন তাডা বলেন, “আমরা গ্রামবাসী এবং প্রযুক্তির সাহায্যে সমগ্র এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও অভিযুক্তদের সন্ধান পাচ্ছি না। বর্তমানে ওই নগ্ন গ্যাং-এর ফাঁদ হিসেবে এবং মহিলাদের নিরাপত্তার খাতিরে একাধিক জায়গায় মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে”। নগ্ন গ্যাং-এর বিষয়টিকে গ্রামের কিছু পরিবার সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিলেও অনেক পরিবার বিষয়টি সত্য বলেই মনে করছে।