উত্তরপ্রদেশে মহিলা পুলিশের উপর শারীরিক নির্যাতন, গ্রেফতার অভিযুক্ত

উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) মহিলা পুলিশের (Woman Police) উপর শারীরিক নির্যাতন (Physical Assault), গ্রেফতার অভিযুক্ত (Accused Arrested)। উত্তর প্রদেশের কানপুরে একজন মহিলা পুলিশের প্রধান কনস্টেবল ধর্ষণের…

Uttar Pradesh Woman Police

উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) মহিলা পুলিশের (Woman Police) উপর শারীরিক নির্যাতন (Physical Assault), গ্রেফতার অভিযুক্ত (Accused Arrested)। উত্তর প্রদেশের কানপুরে একজন মহিলা পুলিশের প্রধান কনস্টেবল ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি যখন কারওয়া চৌথের দিন তার বাড়িতে ফিরছিলেন তখন ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম কল্লু, যিনি ধর্মেন্দ্র পাসওয়ান (৩৪) নামে পরিচিত, এবং তিনি ওই ২৯ বছর বয়সী মহিলা পুলিশ-এর প্রতিবেশী।

ঘটনাটি ঘটেছে যখন কল্লু ওই মহিলা পুলিশকে একটি গাড়িতে ওঠার প্রস্তাব দেন। মহিলাটি একা ছিলেন বলেই কল্লু তাকে পাশের একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখানে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় তিনি অভিযুক্তের আঙুল কামড়ে ধরেছিলেন।

   

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে FIR নং ৩২৯/২৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরণের ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত কল্লুকে গ্রেফতার করে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মনোজ পান্ডে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

এদিকে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Uttar Pradesh) পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যেভাবে তারা অ্যানিম এবং সঞ্জৌস অপরাধের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত সাত বছরের বেশি সময়ে, পুলিশ প্রশাসন রাজ্যে ৮০,০০০ এরও বেশি অপরাধীকে সফলভাবে বিচার করেছে।”

এছাড়াও, ৫৪ জন অপরাধী মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এবং নারী হেনস্থা সংক্রান্ত মামলায় ২৬,৭০০ জন অপরাধী গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত হয়েছে। এসব তথ্য সরকারী রেকর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা সমাজে একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলা ঘটার ঘটনা সমাজের জন্য একটি অশনি সংকেত।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, “এ ধরনের অপরাধের জন্য কড়া শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনার সাহস না করে।” তারা সরকার ও প্রশাসনের কাছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।এই ঘটনার পর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। সমাজে নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

উত্তর প্রদেশের পুলিশ যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা প্রশংসনীয়, তবে সমাজে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং সমাজে শান্তি বজায় রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।