পাটনা: দীর্ঘ জল্পনা, চাপানউতোরের পর অবশেষে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহাগাঁঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তেজস্বীর (Tejaswi Yadav) নামেই পড়ল শিলমোহর। যদিও জোটপক্ষের সম্মতির তোয়াক্কা না করেই রাহুলের ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রথমবার ইঙ্গিত দেওয়ার পর নিজেকেই বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বলে দাবী করে এসেছেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব।
তবে কংগ্রেসের তরফ থেকে সবুজ সংকেত দিতে যথেষ্ট টালবাহানা কর বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী জাদবকেই মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বলে ঘোষণা করা হল। এদিন পাটনার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বীর নামের পাশাপাশি মুকেশ সাহানির নাম উপ-মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে ঘোষান করা হয়।
মনে করা হচ্ছে তেজস্বী এবং মুকেশের নাম ঘোষণা করায় লাভবান হবে বিহারের ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু যারা গত ১০ বছর ধরে বিজেপিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা জানেন কিভাবে দলটি বিরোধীদের অস্ত্রকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। স্পষ্টতই, তেজস্বী এবং সাহনির নাম ব্যবহার করে বিজেপি নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য কোনও কসরত ছাড়বে না। তবে প্রশ্ন হল কীভাবে?
‘জঙ্গল রাজ’ ফেরার ভয় দেখাতে পারে বিজেপি
লালু-পুত্র তেজস্বীকে মহাজোট মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী ঘোষণা করার পর বিহারে লালুর আমলের ‘জঙ্গল রাজ’ ফিরতে পারে বলে ভয় দেখাতে পারে বিজেপি। বিহার-উত্তরপ্রদেশে একসময় যাদবদের দাপটের কথা ভাবলে এখনও শিউড়ে ওঠেন অনেকেই।
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় যাদবদের সমর্থন করলেও ‘জঙ্গল রাজের’ ভয়ে অনেকেই ভোট পাল্টে বিজেপিকে ভোট দেন। বিগত তিন দশক ধরে বিহারের রাজনীতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা বিজয়েন্দ্র বলেন যে বিজেপি প্রায়শই ইচ্ছাকৃতভাবে পরাজয়ের জন্য প্রচারণা চালায়।
যাতে ভোটের দিন মানুষের মনে এই ধারণা গেঁথে যায় যে বিহারে আবারও যাদব শাসন ক্ষমতায় আসবে। এইভাবে, মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিজেপিকে ভোট দেয়। জনসুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরও বলেছেন যে তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হলে বিহারে জঙ্গলরাজ ফিরে আসবে। এই আশঙ্কা থেকে উত্তরপ্রদেশের মত বিহারের মানুষও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলাবেন কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।


