Manipur Violence: গণবিক্ষোভে রক্তাক্ত-অগ্নিগর্ভ মণিপুরে প্রবল ধিকৃত বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার। খোদ প্রদেশ বিজেপির অভ্যন্তর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে সরানোর দাবি উঠেছে। এই দাবি সমর্থন করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
সরকারপক্ষ ও বিরোধীপক্ষ দুই তরফে বিধায়কদের পদত্যাগ হুমকির জেরে টলমল করছে মণিপুরের বিজেপি সরকার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংয়ের হুঁশিয়ারি, যদি প্রধানমন্ত্রী মোদী মণিপুর নিয়ে নীরব থাকেন তবে বিধানসভা থেকে কংগ্রেস বিধায়করাও পদত্যাগ করবেন।
মণিপুরের স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, পৈত্রিক বাড়িতে হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের নিরাপত্তার জন্য তাঁকে গোপনস্থানে সরানো হয়ে়ছে। তিনি আত্মগোপনে। জনতার হাতে মার খাওয়ার ভয়ে একাধিক বিজেপি বিধায়ক পলাতক। কেউ মিজোরামে, কেউ অসম ও ত্রিপুরায় ঢুকেছেন।
জাতি সংঘর্ষের রেশ ধরে রাজ্যের দুই প্রধান জনগোষ্ঠী মেইতেই ও কুকি দুতরফের সমর্থন হারিয়েছে বিজেপি সরকার। গত ১১ অক্টোবর বাংলাভাষী অধ্যুষিত জিরিবাম জেলায় ১১ জন জঙ্গিকে খতম করার দাবি করা হয়। নিহতরা কুকি গোষ্ঠীর। দাবি উড়িয়ে কুকি সংগঠনের দাবি, ভুয়ো সংঘর্ষে ওই যুবকদের খুন করা হয়েছে। ওই দিনই জিরিবাম থেকে তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এদের খুন করা হয়। দেহ মিলেছে অসমের কাছাড় জেলার লাগোয়া অংশে জিরি নদীতে। এরা সবাই মেইতেই গোষ্ঠীর। ফলে এই গোষ্ঠীর ক্ষোভ তুঙ্গে।
রক্তাক্ত জাতি সংঘর্ষের জেরে গত দু বছর ধরে মণিপুরের বিজেপি সরকার অসহায়। এ রাজ্যে শত শত নিহত। হাজার হাজার ঘরছাড়া। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা। প্রদেশ বিজেপি নেতাদের অনেকেই বলছেন, মোদীর সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্টতার কারণে তাঁকে পদচ্যুত করা হচ্ছে না। তবে জিরিবামের পরিস্থিতিতে ফের তাকে সরানোর দাবি উঠেছে।
এ রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলনীয় হচ্ছে গত জুলাই আগস্ট মাস জুড়ে চলা বাংলাদেশে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের সঙ্গে। ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।