দরকাষাকষি করে ইচ্ছেমত ক্যবিনেট ও প্রতিমন্ত্রী পদ মিলেছে। এবার এনডিএ শরিক জেডিইউ ও টিডিপি-র নজরে লোকসভায় অধ্যক্ষের পদ। উভয় শিবিরই চেষ্টা চালাচ্ছে শুরু থেকে। বিষয়টি ভাল না লাগলেও বর্তমানে শরিকদের সমর্থনের দায় হজম করছে বিজেপি। কেন নীতীশ কুমার বা চন্দ্রবাবু নাইডুরা অধ্যক্ষের পদ পেতে মরিয়া? অন্যদিকে কেন এই পদ ছাড়তে বিড়ম্বনায় বিজেপি?
নীতীশ বা চন্দ্রবাবু, অতীতে এঁরা দু’জনেই ছিলেন এনডিএ-তে। সরকার পরিচালনায় তাঁদের বূমিকাও ছিল অগ্রগণ্য। ফলে জোট রাজনীতির প্রেক্ষিতে লোকসভার অধ্যক্ষের গুরুত্ব তাঁরা ভালই বোঝেন। তাই আগামীর কথা ভেবে এখন থেকেই অধ্যক্ষের পদে নিজেদের লোক বসাতে চাইছেন এনডিএ শরিক দুই দলের প্রধান।
লোকসভার অধ্যক্ষ হলেন ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের প্রধান। তিনি লোকসবার মুখপাত্রও বটে। সংসদ পরিচালনার সব দায়িত্ব ও ক্ষমতা তাঁর। অধ্যক্ষই লোকসভায় সংবিধানের শেষরক্ষক হিসাবেও চিহ্নিত করা।
হাফ ছেড়ে বাঁচার তাগিদ! রেকর্ড গড়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েও ছাড়ার আর্জি মোদীর প্রিয়পাত্রের
ভারতীয় রাজনীতিতে ফের জোট সরকার জমানা ফিরেছে। যখন জোট সরকারর পরিচালনার হয়, তখন অধ্যক্ষের গুরুত্ব কয়েক গুণ বেড়ে যায়। জোট সরকারের সময় অতীতে ক্ষমতাসীন দলগুলির মধ্যে বিদ্রোহের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। যা সরকার পতনের দিকে পরিচালিত হয়েছে। এই ধরণের ক্ষেত্রে, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়। এই আইনটি কার্যকর করার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অধ্যক্ষেরই।
প্রকৃতপক্ষে, নীতীশ কুমার অতীতে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর দল ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। ‘কিংমেকার’রা তাই ডামাডোলের সময় বিপদে পড়তে রাজি নয়। ফলে নীতীশ বা চন্দ্রবাবুদের পাখির চোখ লোকসভার অদ্যক্ষেপ চেয়ার।
এখন শরিকদের দাবি মেটাতে শেষ অবধি অধ্যক্ষের চেয়ারে কে বসেন তা নিয়েই কৌতুহল বাড়ছে।