দেশে আবারও এক রেল দুর্ঘটনার (Train Accident) সাক্ষী থাকলেন মানুষ। আবারও সেই মৃত্যু মিছিল, মানুষের হাহাকার-চিৎকার। আজ ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) ঘটে যাওয়া আরও এক রেল দুর্ঘটনা সকলের মনে এক প্রশ্ন জাগতে বাধ্য করেছে। আর সেটা হল ভারতে ট্রেনে ভ্রমণ করা আদৌ আর সুরক্ষিত তো? এই নিয়ে মাত্র ১৩ দিনে সপ্তম রেল দুর্ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এসবের দায় কার?
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ রেল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সিংহভাগ মানুষ রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। তিনি কি আদৌ পদত্যাগ করবেন? এতগুলি দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনার জেরে এত পরিমাণ মৃত্যু মিছিলের দায়ভার কি তিনি নেবেন? উঠছে প্রশ্ন। কখনও সিগন্যালিংয়ে সমস্যা, তো কখনও এই, সেই…আদৌ আগামী দিনে ট্রেনে সফর করা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যাইহোক, আজ লাইনচ্যুত হয়েছে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী ১২৮১০ সিএমএসটি এক্সপ্রেস। ২০টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার এই রেল দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই রেল দুর্ঘটনার পর জায়গায় জায়গায় হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। চক্রধরপুর রেল বিভাগের বাদাবাম্বু রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটে। হাওড়া-মুম্বই মেলের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে অনেক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার চক্রধরপুর রাজাখারসওয়ান ও বরাবাম্বু রেল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে ২৯৯/৩ নম্বর পোলের কাছে ই/এন/জেবিসিটি নামে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। একই লাইনে কি করে দুটি ট্রেন চলে আসে? সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি ট্রেনের চালকের কাছে ওই মালগাড়ি পড়ে থাকার কোনও খবর ছিল না?