টার্গেট ছিল দীপাবলি-২৬ জানুয়ারি! লালকেল্লা হামলার ছক বদল কেন?

White Collar Terror Module Recce

নয়াদিল্লি: রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত সন্দেহভাজন ড. মুজাম্মিল গনাই ‘হোয়াইট-কলার টেরর মডিউল’-এর অন্যতম মূলচক্রী৷ তিনি একাধিকবার রেড ফোর্ট এলাকার নজরদারি চালিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। তাঁর মোবাইল ফোনের ডাম্প ডেটা বিশ্লেষণে মিলেছে এর স্পষ্ট প্রমাণ।

Advertisements

গত সোমবার সন্ধ্যায় রেড ফোর্ট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় একটি হুন্ডাই i20 গাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১২ জনের, আহত হন আরও অনেকে। আশেপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ আবিষ্কার করে— ঘটনার বহু আগেই শুরু হয়েছিল ‘রেকি’ বা এলাকায় নজরদারির কাজ।

   

‘রেকি’র নেপথ্যে বড় পরিকল্পনা

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রেড ফোর্ট ও তার আশপাশে একাধিকবার ঘুরে গিয়েছিলেন ড. মুজাম্মিল। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ও সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, তিনি সেই সময় নিয়মিত ওই এলাকায় আসতেন। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এই সফরগুলির উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তার দুর্বল জায়গাগুলি খতিয়ে দেখা। ২৬ জানুয়ারির আগে একটি বড় হামলার প্রস্তুতি চলছিল।”

এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, দীপাবলির সময়ও একটি জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল মুজাম্মিলদের, কিন্তু বাড়তি নিরাপত্তা ও কড়া নজরদারির কারণে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

Advertisements

সহযোগী ড. উমর নবি-ও জড়িত White Collar Terror Module Recce

মুজাম্মিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন আরেক সন্দেহভাজন ড. উমর নবি। পুলিশের মতে, দু’জনেই রেড ফোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বারবার যাতায়াত করতেন। তাঁদের গতিবিধি মিলিয়ে দেখা হয়েছে টাওয়ার লোকেশন ও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে। উমরের ফোন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা তদন্তকে নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ডিজিটাল প্রমাণের খোঁজে তদন্তকারীরা

বর্তমানে মুজাম্মিল ও উমরের মোবাইল ডেটা, চ্যাট লগ, ও ফান্ড ট্রেল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানতে চায়, এই মডিউলের অর্থের উৎস কোথায়, কীভাবে বিস্ফোরক জোগাড় করা হয়েছিল, এবং পরিকল্পনায় আরও কারা যুক্ত ছিল।

দিল্লির মতো সুরক্ষিত অঞ্চলে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও পরিকল্পিত হামলার ছক প্রশাসনের কাছে বড় সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ধারণা, এই ‘হোয়াইট-কলার টেরর নেটওয়ার্ক’ শুধুমাত্র দিল্লি নয়, দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরেও সক্রিয় হতে পারে।