নয়াদিল্লি: প্রবল বর্ষায় গত কয়েক সপ্তাহে পাঞ্জাবে মত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৩,৮০০ কোটি টাকা। আর কেন্দ্র সরকার মাত্র ১৬০০ কোটি টাকা বন্যা ত্রাণ দিচ্ছে! এই স্বল্প পরিমাণ ত্রাণে কি হবে? কেন্দ্র সরকারের এই ত্রাণ “সমুদ্রে একবিন্দু জলকণার মত” বলে কটাক্ষ করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। পাশাপাশি, দুর্যোগ তহবিলে রাজ্যের কাছে এর চেয়ে ঢের বেশি টাকা আছে বলেও বিজেপিকে খোঁচা মারলেন তিনি।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মান বলেন, “রাজ্যেরই বিপর্যয় মোকাবিলার খাতে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকা জমা আছে। বন্যার মত পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্যই রাজ্যসরকার ওই টাকা তুলে রেখেছিল”। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে (Central Government) কটাক্ষ করে মান বলেন, “ওনারা কি পাঞ্জাবের সঙ্গে মজা করছেন? এই ১৬০০ কোটি টাকা নিয়ে আমরা কি করব?”
পাশাপাশি, গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ৮০০০ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার বন্ধ রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিরোধী দলের রাজ্যগুলি যে কেন্দ্র সরকারের কাছে ‘দুয়োরাণী’ ফের মনে করিয়ে দিয়ে ভগবন্ত মান বলেন, “কোনও কারণ ছাড়াই কেন্দ্র সরকার পাঞ্জাবের ৮০০০ কোটি টাকার গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বিজেপি সরকার এমনটাই করে থাকে”।
ভয়াবহ বন্যায় নরেন্দ্র মোদীর কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার ত্রাণ চেয়েছিল রাজ্য
বিগত কয়েক দশকে এরকম ভয়াবহ বন্যা দেখেনি পাঞ্জাব (Punjab Flood)। হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টির জেরে শতদ্রু, বিয়াস এবং রবি নদীর উপচে পড়া জলের ফলে এই বন্যা দেখা দেয়। গত সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে পায় ৫৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। পাঞ্জাবের প্রায় ২০০০ গ্রাম এবং ৪ লক্ষ মানুষ চলতি বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান রাজস্বমন্ত্রী হরদীপ সিং মুন্ডিয়ান। সেইসঙ্গে প্রায় ১.৯৩ লক্ষ হেক্টর চাষের জমিও বর্ষার জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুরুদাসপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে ২০ হাজার কোটি টাকার বন্যাত্রাণ দাবি করেছিল পাঞ্জাব।