পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহাগাঁঠবন্ধনের ভরাডুবি। আর কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল বামেরা। দিনশেষে ঝুলিতে এল মোটে দু’টি আসন। বিভূতিপুরে জেডিইউ প্রার্থী রবীনা কুশওয়াহার বিরুদ্ধে জয়লাভ করলেন সিপিআইএম (CPIM)-এর অজয় কুমার।
ভোটের ব্যাবধান ছিল ১০২৮১। এছাড়াও পালিগঞ্জে লক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-এর প্রার্থী সুনীল কুমারকে ৬৬৫৫ ভোটে হারিয়ে জিতলেন সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর প্রার্থী সন্দীপ সৌরভ। ২০২৫ বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বিহারের বামপন্থী দলগুলি।
কীভাবে ভোটে জিতল বিজেপি?
ফলাফল ঘোষণার পর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজেপির জেতার পেছনে ‘বিস্ফোরক’ কারণ তুলে ধরল সিপিআইএম (CPIM)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ক্ষমতাসীন জোট সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়েছে, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ তাদের নেতাদের সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী মেরুকরণের বক্তব্য থেকে তারা উপকৃত হয়েছে।” সেইসঙ্গে কর্পোরেট মিডিয়াকে তুলোধোনা করে সিপিআইএম-এর দাবী, বিজেপি-অনুগত কর্পোরেট মিডিয়া মহাজোটবন্ধনের উত্থাপিত জনগণের সমস্যাগুলিকে ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে”।
ভুল শোধরানোর বার্তা
চূড়ান্ত হারের পর ভুল শোধরাতে কি করা উচিৎ, সেই কথাও তুলে ধরেছে সিপিআইএম (CPIM)। তাদের বক্তব্য, বিহারে বিজেপির জিত বুঝিয়ে দিয়েছে, বিরোধীদের আরও একজোট হয়ে লড়াই করা জরুরী। বিহার নির্বাচনের ফলাফলের পেছনে অন্যান্য কারণগুলিও ক্ষতিয়ে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেছে সিপিআইএম।
সেইসঙ্গে তাঁদের এবং অন্য দলের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য বিহারের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো এবং শোষিত ও নিপীড়িতদের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তাঁরা।


