নেপাল সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে ভারতের কি সম্পর্ক?

নয়াদিল্লি: কে পি অলি সরকার পতনের পর নেপালের দায়িত্বভার নিয়েছে সেনাবাহিনী। বিশৃঙ্খলা দমন করতে দেশজুড়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে কার্ফু। পরবর্তী সরকার গঠন…

নেপাল সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে ভারতের কি সম্পর্ক?

নয়াদিল্লি: কে পি অলি সরকার পতনের পর নেপালের দায়িত্বভার নিয়েছে সেনাবাহিনী। বিশৃঙ্খলা দমন করতে দেশজুড়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে কার্ফু। পরবর্তী সরকার গঠন হওয়া পর্যন্ত দেশের শাসনভার সেনাপ্রধান অশোক রাজে সিগদেলের কাঁধে।

নেপালের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতের রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। ১৯৬৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেপালের রুপানদেহিতে জন্ম গ্রহণ করেন জেনারেল সিগদেল। ১৯৮৬ সালে দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৮৭ সালে কমিশন লাভ করেন। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান তিনি।

   

শিক্ষা এবং সেনা কেরিয়ার

নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেন। আর্মি বার কলেজ থেকে উচ্চ কমান্ড ব্যবস্থাপনার কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়াও চিনের ন্যাশানাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুদ্ধনীতি নিয়ে মাস্টার্স করেন।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক

Advertisements

ভারতে সামরিক ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষন নেন নেপালের বর্তমান সেনাপ্রধান সিগদেল। ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক জেনারেল পদমর্যাদা প্রদান করেন। ভারত এবং নেপালের সেনাবাহিনীর মধ্যে মৈত্রী এবং সম্মান মজবুতীর প্রতীক এটি।

উল্লেখ্য, নেপালের বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে টেলিভিশনের ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা বিক্ষোভ, বিশৃঙ্খলতা বন্ধ করে প্রতিবাদীদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

পাশাপাশি, ঐতিহাসিক এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দিয়ে নিজেদেরই সম্পদ নষ্ট হচ্ছে বলে বিক্ষভকারীদের বার্তা দেন তিনি। সেনাপ্রধান বলে, “আমাদের জাতীয়, ঐতিহ্যবাহী, ঐতিহাসিক সম্পত্তির পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পত্তিও রখা করতে হবে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে”।