প্রিয়জনের মৃত্যু মানে শুধু মানসিক চাপ নয়, তার সাথে আসে সরকারি ডকুমেন্ট ও পরিচয়পত্র যেমন, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিচালনার দায়িত্ব। আইনগত উত্তরাধিকারীরা অনেক সময় এই ডকুমেন্টগুলির (Government-Issued IDs) সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে জানেন না। প্রিয়জনের মৃত্যুর পর এগুলো কি রাখা উচিত, জমা দেওয়া উচিত, না কি ধ্বংস করে দেওয়া উচিত?
এই ডকুমেন্টগুলিকে কতদিন রাখা উচিত বা কীভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়া যায়? এ বিষয়ে আপনাকে গাইড করার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দেওয়া হল।
ওটিপি সমস্যা ও অন্যান্য নিয়মে পরিবর্তন: ডিসেম্বর ১ থেকে শুরু হচ্ছে নতুন নির্দেশনা
১. আধার কার্ড
আধার হল ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র। এটি বিভিন্ন সরকারি সেবার জন্য অপরিহার্য, যেমন এলপিজি (LPG) সাবসিডি, স্কলারশিপ, ইপিএফ (EPF) অ্যাকাউন্ট পরিচালনা ইত্যাদি। আধার নম্বর বাতিল করার কোনো পদ্ধতি নেই। তবে মৃত ব্যক্তির আধার নম্বর বন্ধ করার জন্য ইউআইডিএআই (UIDAI)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যেতে পারে।
এর জন্য মৃত্যুর সনদপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। এই সুবিধাটি আধার নম্বরের অপব্যবহার রোধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
এখন আরও বেশি ক্ষমতার মোটর, এই ই-স্কুটারের স্টোরেজ তাক লাগায়
২. প্যান কার্ড
মৃত ব্যক্তির প্যান কার্ড জমা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের আয়কর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। মৃত্যুর কথা জানাতে ফর্ম ৩০ পূরণ করতে হবে এবং মৃত্যুর সনদপত্রের কপি জমা দিতে হবে। স্যারেন্ডার প্রক্রিয়া শুরুর আগে মৃত ব্যক্তির সমস্ত অ্যাকাউন্ট অন্য পরিবারের সদস্যের নামে স্থানান্তর করা অথবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটি ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
৩. ভোটার আইডি
একজন ব্যক্তির মৃত্যু হলে, তার পরিবার সদস্যরা মৃত ব্যক্তির ভোটার আইডি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য নির্বাচনী দফতরে গিয়ে ফর্ম ৭ পূরণ করতে হবে। ভোটার আইডি বাতিলের জন্য মৃত্যুর সনদপত্রের প্রমাণ প্রয়োজন হতে পারে। তাই আবেদন করার সময় মৃত্যুর সনদপত্র সঙ্গে রাখা উচিত। মৃত ব্যক্তির ভোটার আইডি বাতিল করা জরুরি, যাতে নির্বাচনের সময় তার অপব্যবহার না হয়।
Bajaj Pulsar NS400Z সহ আরও চারটি সেরা বাইকের তালিকা দেখুন, ২ লাখের কম দাম
৪. পাসপোর্ট
আধার কার্ডের মতো, পাসপোর্ট বাতিল করার কোনো বিধি নেই। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস (Regional Passport office)-এ একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে এবং মৃত্যুর সনদপত্রের কপি প্রদান করতে হবে। পাসপোর্টটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলে অপব্যবহার রোধ করা যায়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাসপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ থাকে এবং সেই সময় পার হলে পাসপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। এরপর কোনো “বাতিল” প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয় না।
বৃহস্পতিবার ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৯২.৪৯টাকা, কলকাতায় কত দাম রয়েছে পেট্রোলের?
এই ডকুমেন্টগুলির সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা ভবিষ্যতে কোনো জটিলতার সম্মুখীন হওয়া এড়াতে সাহায্য করবে।