পাটনা: সোমবার বিহারের পুনেরায় বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনাল উদ্বোধনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেইসঙ্গে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কর্মসূচী রয়েছে তাঁর। এবার পুনেরা জেলার জনসভা থেকে কংগ্রেস-আরজেডি উভয়কেই তুলোধোনা করলেন বিজেপি সুপ্রিমো। সম্প্রতি কেরল কংগ্রেসের “বিহার-বিড়ি” পোস্ট নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। বিহারের মানুষকে কেরল কংগ্রেস অসম্মান করেছে বলে তোপ দাগে গেরুয়া শিবির।
এবার নরেন্দ্র মোদী বললেন, “বিহারে তৈরি রেল ইঞ্জিন আফ্রিকায় পাঠানো হয়। কিন্তু আরজেডি-কংগ্রেসের এসব হজম হয় না। বিহার উন্নতি করলেই, বিরোধীরা বিহারকে অসম্মান করে।” এরপর বিহার-বিড়ি বিতর্ক নিয়ে সরাসরি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আরজেডিকে (RJD) সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস (Congress) সমাজমাধ্যমে বিহারকে বিড়ির সঙ্গে তুলনা করতে ব্যস্ত! এরা আসলে বিহারের মানুষকে ঘৃণা করে।”
এখানেই থেমে যাননি নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস এবং আরজেডির পারিবারিক রাজনীতির বিরুদ্ধে সুর চরিয়ে মোদী বলেন, “আরজেডি এবং কংগ্রেস শুধুমাত্র নিজেদের পরিবার নিয়ে ভাবতেই ব্যস্ত। এরা আপনাদের পরিবার নিয়ে কোনদিন ভাববে না। কিন্তু মোদীর কাছে আপনাদের পরিবার তাঁর নিজের পরিবার। এই জন্যই আমি বলি সবকা সাথ, সবকা বিকাশ”।
পাশাপাশি, আসন্ন উৎসবের মরশুমকে মাথায় রেখেই জিএসটি (GST) সংস্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনের সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট সবকিছুর দাম কমে যাবে। আমজনতার স্বার্থেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন তিনি। নির্বাচনে বিহারের মা, বোনেরা আরজেডি, কংগ্রেসের থেকে বদলা নেবে বলে তোপ দাগেন মোদী।
বিহার-বিড়ি বিতর্ক
বস্তুত, সিগার, সিগারেট, তামাকজাত দ্রব্যে ২৮% এর পরিবর্তে ৪০% জিএসটি বসানো হলেও বিড়ির সংশোধিত জিএসটির প্রস্তাব ২৮ থেকে ১৮% নামানো হয়েছে। এই নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর কেরল কংগ্রেস বিজেপি (BJP) এবং অর্থমন্ত্রককে খোঁচা মেরে এক্স-কে পোস্ট করে, “বিড়ি এবং বিহারী দুইয়েরই প্রথম অক্ষর “বি”! আর পাপ হিসেবে গণ্য করা যাবে না”।
কিছুক্ষণ পরেই পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ এই বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্র সরকার ভোটের আগে তাই বিড়ির উপর থেকে জিএসটি কমিয়ে বিহারের মানুষকে ‘খুশি’ করতে চাইছে ইঙ্গিত করে পোস্টটি করে কংগ্রেস।
পরে পোস্টটি মুছে বিড়ি-সিগারেটের রেট-এর একটি ছবি পোস্ট করে তার সঙ্গে লেখা হয়, “মনে হচ্ছে ভোটের আগে মোদীর নির্বাচনী প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের কটাক্ষকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে! যদি আপনাদের খারাপ লেগে থাকে, তাহলে আমরা দুঃখিত”। দুদিন পর কেরল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান ভি টি বলরাম ইস্তফা দেন।