৭ মে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের (pakistani) গভীরে অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালিয়ে অপারেশন সিঁদুর সম্পন্ন করে। এই হামলা ছিল গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ, যেখানে ২৬ জন নিরীহ মানুষ, বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক, নিহত হয়েছিলেন।
ভারতের এই হামলার জবাবে পাকিস্তান (pakistani) ৭ মে রাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণের চেষ্টা করে।
লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল আওয়ান্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ। তবে, ভারতের ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই হামলাগুলো সফলভাবে প্রতিহত করে।
এস-৪০০ সুদর্শন চক্র
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এস-৪০০ সুদর্শন চক্র এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গত রাতে ভারতের দিকে আগত লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়। একাধিক ডোমেন বিশেষজ্ঞের মতে, এই লক্ষ্যবস্তুগুলো সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সরকারি সূত্র থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলা
এদিকে, আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং সিস্টেমের উপর হামলা চালায়। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, লাহোরে অবস্থিত একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের এই প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের হামলার সমান তীব্রতা ও একই ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল।
অপারেশন সিঁদুরের বিবরণ
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান (pakistani) ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (পিওজেকে) জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম), লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। এই হামলায় চারটি লক্ষ্যবস্তু পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এবং বাকি পাঁচটি পিওজেকে অবস্থিত ছিল।
পাকিস্তানের (pakistani) বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, সরজাল এবং মেহমুনা জয়া এবং পিওজেকের ভিম্বরে মারকাজ আহলে হাদিস বারনালা, কোটলিতে মারকাজ আব্বাস ও মাসকার রাহিল শহীদ, মুজাফফরাবাদে শাওয়াই নাল্লাহ ক্যাম্প এবং মারকাজ সৈয়দনা বিলাল এই হামলার লক্ষ্য ছিল।
সূত্র জানায়, এই নির্ভুল হামলায় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে, অপারেশন এখনও চলছে সেই কারণে নিহত জঙ্গিদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই হামলাগুলোকে “কেন্দ্রীভূত, পরিমিত এবং অ-উত্তেজক” হিসেবে বর্ণনা করেছে, এবং জানিয়েছে যে কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনা এতে লক্ষ্য করা হয়নি।
পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণ ও ভারতের ক্ষয়ক্ষতি (pakistani)
পাকিস্তান (pakistani) অপারেশন সিন্দুরের পর লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উড়ি, পুঞ্চ, মেন্ধর এবং রাজৌরি সেক্টরে মর্টার এবং ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে অযাচিত গোলাগুলি বাড়িয়েছে। এই গোলাগুলিতে ১৬ জন নিরীহ মানুষ, যার মধ্যে তিনজন মহিলা এবং পাঁচজন শিশু রয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে। ভারত পাকিস্তানের এই গোলাগুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে পাল্টা হামলা চালায়।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পুনরায় জানিয়েছে যে তারা উত্তেজনা বৃদ্ধি না করার প্রতিশ্রুতিতে অটল, তবে এটি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সম্মানিত হওয়া উচিত। পাকিস্তানের হামলার ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে একাধিক স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের আক্রমণের প্রমাণ বহন করে।
অপারেশন সিঁদুরে খতম ১০০ জঙ্গি, হামলা হলে ফের প্রত্যাঘাত: রাজনাথ
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশকে সংঘাত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সামরিক সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, “বিশ্ব ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত বহন করতে পারে না।” চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই উত্তেজনা কমানোর পক্ষে কথা বলেছেন, এবং বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত শান্তি আলোচনার সমর্থন করেছে।
ভারতের অবস্থান
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলাগুলো পাকিস্তান (pakistani) ও পিওজেকে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটি এবং প্রোসিনক্ষন কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত তার মাটিতে হামলার “যথাযথ জবাব” দেওয়ার অধিকার রাখে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অপারেশনকে গর্বের মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
অপারেশন সিঁদুর ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রমাণ। তবে, পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণ এবং এলওসি বরাবর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত, তবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষের সংযম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।