গতকাল বেঙ্গালুরুর (Bangaluru) কাছে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যা নিরাপদ গাড়ির গুরুত্ব এবং রাস্তার নিরাপত্তা নিয়ে এক নতুন আলোচনা উত্থাপন করেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নেলমানগালা-তুমকুরু হাইওয়েতে, যেখানে একটি কন্টেইনার ট্রাক ডিভাইডার পেরিয়ে চলে আসে এবং ভলভো এক্সসি ৯০ গাড়িটিকে পিষে দেয়। ভলভো এক্সসি ৯০, যা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ গাড়ির মধ্যে একটি হিসাবে পরিচিত, সত্ত্বেও এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং তাতে ছয়টি মূল্যবান জীবন চলে যায়।
প্রিয়াঙ্কার কাছে পরাজিত বিজেপির নব্যা ভোটের ফলাফলে সন্তুষ্ট নন, দ্বারস্থ আদালতের
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চন্দ্রাম ইয়েগাপাগোল (৪৮), তার স্ত্রী গৌরাবাই (৪২), ছেলে গিয়ান (১৬), মেয়ে দীক্ষা (১২), শ্যালিকা বিজয়ালক্ষ্মী (৩৬) এবং আর্যা (৬)। চন্দ্রাম ইয়েগাপাগোল ছিলেন বেঙ্গালুরুর একটি অটোমোটিভ সলিউশনস ফার্ম IAST সফটওয়্যার সলিউশন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি মাত্র দুই মাস আগে এই ভলভো এক্সসি ৯০ গাড়িটি কিনেছিলেন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করেছে যে শুধু গাড়ির নিরাপত্তা সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করলেই হবে না, পাশাপাশি রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি। ভলভো এক্সসি ৯০ গাড়ি অত্যন্ত নিরাপদ বলে পরিচিত, এতে একাধিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন অটোমেটিক ব্রেকিং সিস্টেম, সাইড কোলিশন প্রোটেকশন, এয়ারব্যাগ সিস্টেম, এবং অনেক অন্যান্য প্রযুক্তি যা গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তবে, সেসব সত্ত্বেও, কন্টেইনার ট্রাকটি ডিভাইডার পার হয়ে গাড়িটিকে চাপা দিয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
পরীক্ষা থেকে বাঁচতে স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে পড়ুয়ারাই, দাবি দিল্লি পুলিশের
এই দুর্ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শুধু গাড়ির প্রযুক্তি বা নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য উন্নত করলেই বিষয়টি সমাধান হবে না। দেশের অনেক রাস্তা এখনও নিরাপদ নয়, এবং অবৈধ গতিবিধি, রাস্তার অবস্থা, এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাব দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। নেলমানগালা-তুমকুরু হাইওয়ে, যেখানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, একটি ব্যস্ত সড়ক, এবং এতে সঠিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাব বা সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবহেলা হতে পারে, যা এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকেছে দিল্লি, মুম্বই! ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের কাছে একটি বড় বার্তা পৌঁছে দেয়—রাস্তা, সড়ক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। গাড়ির নিরাপত্তা প্রযুক্তি উন্নত হলেও, যদি রাস্তা বা পরিবহন ব্যবস্থা নিরাপদ না হয়, তবে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমানো সম্ভব নয়। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা, সঠিক সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রতি জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করা।
এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য আমরা দুঃখিত, এবং আশা করি ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।