HomeBharatপরীক্ষায় বোরখা না! গেরুয়া রাজ্যে প্রতিবাদী ছাত্রীদের পাশে AIMIM

পরীক্ষায় বোরখা না! গেরুয়া রাজ্যে প্রতিবাদী ছাত্রীদের পাশে AIMIM

- Advertisement -

মুম্বই, ৩ ডিসেম্বর: গুরগাঁও (পশ্চিম)-এর বিবেক জুনিয়র কলেজের গেটের সামনে আজ সকাল (Vivek Junior College dress code ban) থেকেই গোলমাল। একদল মেয়ে ছাত্রী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে, “আমাদের ধর্মীয় পরিচয় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে!” আর কয়েকজন ছেলে ছাত্রও জুটেছে, যাদের কুর্তা-পায়জামা এবং টুপিতে আপত্তি তুলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ প্রশাসনের নতুন নিয়ম: ক্যাম্পাসের ভিতর বোরখা, নিকাব, হিজাবের সাথে মুখ ঢাকা, ছেলেদের টুপি, কুর্তা-পায়জামা সবই নিষিদ্ধ।

কারণ? শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করা এবং পরীক্ষায় প্রক্সি বা পরিচয় লুকিয়ে নকলের সম্ভাবনা রোধ করা। কিন্তু ছাত্রীদের দাবি, “এটা আমাদের মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত।”সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কলেজের গেটের সামনে প্রায় দেড়শো ছাত্রী জমায়েত করে। অনেকেই পুরো নিকাব পরে এসেছিল, গেটে পৌঁছতেই সিকিউরিটি আটকে দেয়। “মুখ দেখাতে হবে, নইলে ঢুকতে পারবেন না”—এই কথা শুনে প্রতিবাদ শুরু।

   

তামাকজাত দ্রব্যের উপর লাগু হল এক্সাইজ ডিউটি

একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া খান (নাম পরিবর্তিত) বললেন, “আমি গত দু’বছর ধরে নিকাব পরে ক্লাস করি। কখনো কারো সমস্যা হয়নি। হঠাৎ এখন কেন? পরীক্ষায় তো আলাদা আসন দেওয়া হয় মেয়েদের, নকলের ভয় কীসের?” আরেক ছাত্রী ফাতিমা বললেন, “আমাদের বলা হচ্ছে হিজাব পরলেও চলবে, কিন্তু নিকাব নয়। তাহলে কোথায় গেল ধর্মীয় স্বাধীনতা?” ছেলেদের মধ্যে কয়েকজনের অভিযোগ, কুর্তা-পায়জামা বা টুপি পরলে তাদের “অন্য ধর্মের” বলে টিটকিরি দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন এআইএমআইএম-এর মহারাষ্ট্র মহিলা শাখার নেত্রী জাহানারা শেখ। তিনি কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “এটা মুসলিম ছাত্রীদের শিক্ষার অধিকারের উপর আঘাত। কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের পর এখন মহারাষ্ট্রে? আমরা এটা মেনে নেব না।

প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।” তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন স্থানীয় কাউন্সিলরও। তবে বিবেক কলেজের অনেক হিন্দু-খ্রিস্টান ছাত্রীও প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে, তাদের দাবি—“এটা শুধু মুসলিম ইস্যু নয়, এটা পোশাকের স্বাধীনতার প্রশ্ন।”

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular