গুজরাটের আবাসিক স্কুলে ভাইরাল সংক্রমণ, ১৫০ জন শিক্ষার্থী কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত

গুজরাটের সুরাটে তিনটি সরকারি আবাসিক স্কুলের ১৫০ জন শিক্ষার্থী কাশির ও জ্বরের মতো উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ জন ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি…

গুজরাটের সুরাটে তিনটি সরকারি আবাসিক স্কুলের ১৫০ জন শিক্ষার্থী কাশির ও জ্বরের মতো উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ জন ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে সুরাট জেলার প্রধান জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. অনিল প্যাটেল জানিয়েছেন, গত ৩-৪ দিনে এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ (উপরি শ্বাসনালীর সংক্রমণ) দেখা দিয়েছে, যার ফলে কাশি ও জ্বরের উপসর্গ তৈরি হয়েছে।

   

ওমারপদা তালুকের ওয়াদি গ্রামে তিনটি আবাসিক স্কুলের একটি ক্যাম্পাসে মোট ৬৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে। গত কয়েকদিনে ১৫০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে, যার মধ্যে ১৮ জন ছাত্রী বেশি আক্রান্ত হয়। তারা সবাই জ্বরে ভুগছিলেন এবং তাদের স্থানীয় একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রায় ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল পাঠিয়েছে, যারা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

ড. প্যাটেল আরও বলেছেন “আমরা প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি যেন বায়ুবাহিত এই সংক্রমণ না ছড়ায়, এবং যারা জ্বরে ভুগছে বা কাশছে তাদের আলাদা করে রাখা হয় এবং মাক্স পরানো হয়। স্কুল ক্যাম্পাসে ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত রয়েছে।”

স্কুলের প্রিন্সিপাল জয়দীপসিংহ রাঠোড় জানিয়েছেন, “বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী গত কয়েকদিনে কাশি ও জ্বরের শিকার হয়, এরপর আমরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাদের পরীক্ষা করাই। এর মধ্যে ১৮ জন ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

মেয়েরা ছাড়া অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদেরও এই ভাইরাল সংক্রমণ হয়েছে, তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সবাই মেয়ে।

এছাড়া এলাকার বিধায়ক এবং প্রাক্তন আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী গণপত ভাসাভা বিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সুরাট জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের একটি দল স্কুলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের স্ক্রীনিং করেছেন।

এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় আছেন যাতে এই সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে না পড়ে।