JNU-তে পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ! গ্রেফতার ২৮ ছাত্র

নয়াদিল্লি: ছাত্রভোটের আবহে উত্তাল দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের JNU) প্রাঙ্গন। শনিবার পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী (Leftist) ছাত্রদের ব্যাপক ধুন্ধুমার বাধে। ঘটনায় ২৮ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্ররা বসন্ত কুঞ্জ থানার উদ্দেশ্যে মিছিল করার সময় তাঁদেরকে JNU-এর বেস্ট গেটের কাছে আটকে দেওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

Advertisements

গ্রেফতার হওয়া ২৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৯ জন ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের (Student Union) সভাপতি নীতেশ কুমার, সহ-সভাপতি মনীষা এবং সাধারণ সম্পাদক মুন্তিয়া ফাতিমা।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬ তা নাগাদ ৭০-৮০ জন ছাত্র বেস্ট গেটের কাছে জমায়েত হয়ে বিনা অনুমতিতে ধর্না, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছাত্ররা যাতে নেলসন ম্যান্ডেলা মার্গের দিকে অগ্রসর হতে না পারে সেইজন্য আগে থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড করা ছিল। কিন্তু উন্মত্ত ছাত্ররা ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান।

এই অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের মারপিট, সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের উদ্দেশ্যে কয়েকজন ছাত্র ‘অশ্লীল’ ভাষা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ৪ জন পুরুষ ও ২ মহিলা পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisements

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছাত্রদের

অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে JNU-এর বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবী, বিজেপির ছাত্র সংগঠন ABVP-কে সুরক্ষা দিচ্ছে পুলিশ। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও গ্রহণ করছে না। তাঁরা জানিয়েছেন, দশেরার দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বামপন্থী এবং ABVP-র ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা বাধে। কিন্তু ওই ঘটনায় পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করেনি।

উল্টোদিকে পুলিশের বক্তব্য, তাঁরা ছাত্র নেতাদের সঙ্গে লাগালার যোগাযোগ রাখছেন এবং আইন মেনেই নিরপেক্ষ তদন্ত করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বামপন্থী ছাত্ররা থানা ‘ঘেরাও’ অভিযান অব্যাহত রাখে। এই কারণেই তাঁদেরকে আটক করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। শনিবারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।