‘ভগবান আপনাকে শাস্তি দিয়েছেন….’, ভিনেশদের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে কটাক্ষ ব্রিজ ভূষণের

ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তপ্ত হচ্ছে হরিয়ানার রাজনীতি। কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) ও বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) কংগ্রেসে যোগ দিতেই রাজনীতির কোর্টে…

Vinesh-Phogat

ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তপ্ত হচ্ছে হরিয়ানার রাজনীতি। কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) ও বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) কংগ্রেসে যোগ দিতেই রাজনীতির কোর্টে পাল্টা প্যাঁচ মারলেন ব্রিজ ভূষণ। ওই দুই কুস্তিগীরের কংগ্রেস যোগদান নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন উত্তরপ্রদেশের কিশোরগঞ্জের বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ (Brij Bhushan Sharan Singh)। এদিন তিনি বলেন, “জুনিয়ার খেলোয়াড়দের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন আপনারা। তাই ভগবান সেই শাস্তি আপনাদের দিয়েছে।” মূলত অলিম্পিকে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে জুনিয়ার খেলোয়াড়দের সুযোগ কেড়ে নিয়েছেন ভিনেশ-পুনিয়ারা। অনেকটা এই মর্মেই ব্রিজ ভূষণ ভিনেশদের আক্রমণ করেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

এমনকি ওই খেলোয়াড়েরা অর্থ্যাৎ ভিনেশ-পুনিয়ারা গত দু’বছর আগে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন বলেও দাবি করেন প্রাক্তন ফেডারেশন সভাপতি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেই সময় আমি বলেছিলাম এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। এর নেপথ্যে কংগ্রেসের হাত রয়েছে।” হরিয়ানার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র হুড্ডা ও ভূপেন্দ্র হুড্ডাকে নিশানা করে এদিন তিনি বলেন, “এতে দীপেন্দ্র হুড্ডা ও ভূপেন্দ্র হুড্ডা জড়িত। এটি খেলোয়াড়দের আন্দোলন ছিল না। সবটাই ছিল কংগ্রেসের কারসাজি। দু’বছর বাদে এখন যা দিনের আলোর মত স্পষ্ট।” 

   

সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে ফাইনাল রাউন্ডে অতিরিক্ত ওজনের জন্য বাদ পড়তে হয় ভিনেশকে (Vinesh Phogat)। যা নিয়ে তুমুল জলঘোলা শুরু হয়। চক্রান্ত করে ভিনেশকে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। আর সেই ঘটনাকেই এবার ‘ভগবানের দেওয়া শাস্তি’ বলে উল্লেখ করলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ।  

এদিকে গত বছর মাঝামাঝি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিন প্রধান কুস্তিগীর – সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়া। রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের পদত্যাগের দাবিতে দিল্লির রাজপথে অনশনে বসেন তাঁরা। সেসময় তাঁদের সঙ্গ দিয়েছিলেন আরও অনেকেই।

কুস্তিগীরদের সমর্থনে কৃষক আন্দোলনের নেতারা যোগদান করলে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। হরিয়ানার একাধিক খাপ পঞ্চায়েতে প্রতিফলিত হয়েছিল কুস্তিগীরদের দাবি। কুস্তিগীরদের আন্দোলনকে সরাসরি সমর্থন জানায় কংগ্রেস সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণ। বলা বাহুল্য যে এই ঘটনার জেরে বিপাকে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।