ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা বিজেন্দর গুপ্ত (Delhi Assembly Speaker) সম্ভবত দিল্লি বিধানসভার স্পিকার হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগেই, বিজেপি সূত্র জানিয়েছে।
বিজেপি নেতা মোহন সিংহ বিস্টকে উপ-স্পিকার হিসেবে শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেন্দর গুপ্ত, যিনি আগে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন, রোহিণী থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। তিনি ৩৭ হাজারেরও বেশি ভোটে আাম আদমি পার্টির (এএপি) প্রদীপ মিত্তালকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গুপ্ত দিল্লি বিজেপির সভাপতি ছিলেন এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য, এছাড়াও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফ দিল্লির স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।
অন্যদিকে, বিজেপির মোহন সিংহ বিস্ট ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটে এএপি’র আদিল আহমেদ খানকে হারিয়েছেন। বিস্ট কারওয়াল নগর আসনের পাঁচবারের বিধায়ক। এটি তার ষষ্ঠবার নির্বাচিত হওয়া। এবার তিনি মুস্তফাবাদ আসনে জয়ী হয়েছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি সব নির্বাচনেই বিজয়ী হয়েছেন, একমাত্র ২০১৫ সালে কপিল মিশ্রের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
এদিকে, বিজেপির শালিমার বাগ এলাকার বিধায়ক রেখা গুপ্ত আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিজেপি মহিলা মোর্চার জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। এই পদে থেকে তিনি মার্জিত সম্প্রদায় এবং নারীদের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি শুরু করেন।
রেখা গুপ্তের সঙ্গে শপথ নেবেন আরও ছয় মন্ত্রী। যার মধ্যে পার্বেশ সাহেব সিং (ডেপুটি সিএম), আশীষ সুধ, মঞ্জিন্দর সিং সিরসা, রবীন্দ্র ইন্দ্রাজ সিং, কপিল মিশ্র এবং পঙ্কজ কুমার সিং। রেখা গুপ্ত দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
এটি দিল্লির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত কারণ বিজেপি ২৭ বছর পর আবার দিল্লির সরকার গঠন করছে। বিজেপি এই নির্বাচনগুলিতে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন পেয়েছে, অন্যদিকে আম আদমি পার্টি (এএপি) মাত্র ২২টি আসনে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস আবারও কোনও আসন পায়নি, এটি তাদের তৃতীয় ক্রমাগত নির্বাচন যা তারা হারালো।
এই নির্বাচনে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি প্রমাণ করছে যে দিল্লির জনগণ তাদের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিশেষ করে, রেখা গুপ্ত এবং তার মন্ত্রিসভা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে রাজি রয়েছেন।
এএপি এই নির্বাচনে নিজেদের হারানোর পরও তাদের রাজনীতির মঞ্চে অবিচল থাকবে। তবে বিজেপির কাছে এই জয় তাদের শক্তি এবং প্রভাব আরোও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির উত্থান দিল্লির রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।