বারাণসী: বারাণসী গণধর্ষণ মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অসন্তোষ প্রকাশের পাঁচ দিনের মধ্যেই কাশী জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) চন্দ্রকান্ত মীনাকে সরিয়ে দিল রাজ্য প্রশাসন। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্য পুলিশ মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, আইনশৃঙ্খলা দফতরের অন্যতম দক্ষ অফিসার হিসেবেই পরিচিত মীনা। কিন্তু গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠার পরই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক মহলের অনুমান। যদিও, তাঁকে ঠিক কোথায় বদলি করা হয়েছে, তা এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি।
কী ঘটেছিল? Varanasi gangrape case DCP transfered
৩ এপ্রিল বারাণসীর পিশাচ মোচন এলাকার একটি হুক্কা বারে এক তরুণীকে তাঁর এক বন্ধু নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানে আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে পানীয়র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ায়। অচৈতন্য হয়ে পড়ার পর তরুণীকে সিগরা এলাকার কয়েকটি হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে এক সপ্তাহ ধরে ২৩ জন মিলে লাগাতার ধর্ষণ করে।
৪ এপ্রিল পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক হোস্টেল ও ব্যক্তিগত বাসস্থান চিহ্নিত করে। মূল অভিযুক্ত-সহ এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলেও, আরও ১০ অভিযুক্ত পলাতক।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি বড় যৌনচক্রের হদিস পায়। মূল অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে ৫৪৬ জন নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও, যেগুলি উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু-সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে ‘গ্রাহক’ তৈরি করা হত বলে অভিযোগ।
প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ ও প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া Varanasi gangrape case DCP transfered
১০ এপ্রিল বারাণসীতে সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরাসরি এই ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নেন। বারাণসী পুলিশ কমিশনার এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা তাঁকে ঘটনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। সূত্রের খবর, তদন্তের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।
সরকারি স্তরে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পেয়ে রাজ্য প্রশাসনও নড়ে চড়ে বসে। একাধিক স্তরে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হয়, এবং দ্রুত ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মীনাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তদন্তে গতি আনতে তৎপর প্রশাসন Varanasi gangrape case DCP transfered
যদিও এখনও সব অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ, প্রশাসনের দাবি, খুব শিগগিরই পলাতকদেরও গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে চার্জশিট পেশ করাই এখন রাজ্য পুলিশের প্রধান লক্ষ্য।
Bharat: Varanasi gangrape case sparks controversy as PM Modi expresses dissatisfaction over police negligence. Within 5 days, DCP Chandrakant Meena transferred. Probe reveals a large-scale sex racket with over 546 obscene videos.