কাটরা, ১ ডিসেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় শ্রী মাতা বৈষ্ণদেবী ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এক্সিলেন্স (Vaishno Devi Medical College) কলেজে এমবিবিএসের প্রথম ব্যাচে ৫০টি সিটের মধ্যে ৪২টি মুসলিম ছাত্রদের নাম থাকায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এবার এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসীরা, যারা হিন্দু ভক্তদের দানের টাকায় নির্মিত এই কলেজে হিন্দু ছাত্রদের অগ্রাধিকার দাবি করছেন।
বিজেপি নেতারা লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যখন বিরোধী দলগুলো এটাকে ধর্মীয় বিদ্বেষের চিহ্ন বলে অভিযোগ করছেন। বিক্ষোভ চলমান, এবং পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে উত্তপ্ত হতে পারে।এই কলেজটি শ্রী মাতা বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ডের অধীনে চলে, যা বছরে লক্ষ লক্ষ হিন্দু তীর্থযাত্রীর দানধ্যান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
২০২৫-২৬ একাডেমিক ইয়ারের জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন ৫০টি এমবিবিএস সিট অনুমোদন করেছিল। নিট (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট) র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ভর্তির তালিকা প্রকাশ হলে দেখা গেল, ৪২ জন মুসলিম ছাত্র—প্রধানত কাশ্মীর থেকে—সিলেকশন পেয়েছেন, মাত্র ৭ জন হিন্দু এবং একজন শিখ। এটি দেখে ডোগরা ফ্রন্ট, রাষ্ট্রীয় বজ্রং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), যুব রাজপুত সভা এবং মুভমেন্ট কল্কি’র মতো সংগঠনগুলো রাস্তায় নেমে এসেছে।
আইএসএলের জট খুলতে বুধবার এই বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক
গত সপ্তাহে কাটরা এবং জম্মুতে বিক্ষোভকারীরা কলেজের গেট ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন, পুলিশ তাদের আটকিয়েছে। এবার নতুন টুইস্ট এসেছে সাধু-সন্ন্যাসীদের যোগদানে। রাস্তায় বসে তারা বলছেন, “মাতার ভক্তদের দানের টাকায় নির্মিত এই প্রতিষ্ঠানে শুধু হিন্দু ছাত্রদেরই অধিকার। মুসলিম ছাত্ররা এখানে পড়লে ধর্মীয় অনুভূতি আহত হবে।”
একজন সাধু বললেন, “এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকারের প্রশ্ন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করব, কিন্তু লিস্ট প্রত্যাহার না হলে বড় আন্দোলন হবে।” বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, কলেজটিকে হিন্দু মাইনরিটি ইনস্টিটিউশন ঘোষণা করা হোক, যাতে ৫০ শতাংশ সিট হিন্দুদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। তারা আরও বলছেন, ভর্তির প্রক্রিয়া গোপন রাখা হয়েছে এবং কোনো স্বচ্ছতা ছিল না।
বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর ইউনিট এই ইস্যুতে সক্রিয়। সোমবার একটি প্রতিনিধি দল—যাতে ছিলেন বিপক্ষ নেতা সুনিল শর্মা, এমএলএ শম লাল শর্মা, সুরজিৎ সিংহ স্লাথিয়া, দেবিন্দর কুমার মানিয়াল এবং রণবীর সিংহ পাঠানিয়া—লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা বলেছেন, “শ্রাইন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি হস্তক্ষেপ করুন।
শুধুমাত্র বৈষ্ণদেবীতে বিশ্বাসী ছাত্রদেরই এখানে ভর্তির অধিকার।” বিজেপি নেতা আরএস পাঠানিয়া এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, “শ্রাইন বোর্ড অ্যাক্ট এবং ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টে সংশোধনী দরকার, যাতে তীর্থযাত্রীদের ভক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে।” রাষ্ট্রীয় বজ্রং দলের প্রেসিডেন্ট রাকেশ বজরংগি বলেছেন, “৪২ জন মুসলিম ছাত্রের ভর্তি অগ্রহণযোগ্য। নতুন লিস্ট তৈরি করুন এবং হিন্দুদের জন্য রিজার্ভেশন নিশ্চিত করুন।”
