গুজরাটের ভাদোদরা (Vadodara) শহরের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC) শোধনাগারে (refinery) গতকাল রাতে আগুন (fire) লেগে দুটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে, এবং চিকিৎসকরা তার অবস্থা নিয়ে সতর্ক।
অগ্নিকাণ্ডের কারণঃ
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি অজানা কারণে আইওসিএলের শোধনাগারের তেল সংগ্রহস্থলে আগুন লেগে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। দমকল কর্মীরা প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়। তবে শোধনাগারের কিছু অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আইওসিএলের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতির পরিমাণ এবং আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছেন।
মৃতদের পরিচয় এবং আহতের অবস্থাঃ
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনের নাম শঙ্করলাল দে (৪৫), অন্যজনের নাম জানা যায়নি। শঙ্করলাল দে আইওসিএলের কর্মী ছিলেন। আহত ব্যক্তির নাম রামু বেন (৩৫), তিনি শোধনাগারের এক শ্রমিক ছিলেন। তার অবস্থা গুরুতর, তবে চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আইওসিএল কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
আইওসিএলের এক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা এই দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। “আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, কিন্তু এই ধরনের দুর্ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করব এবং আহত ব্যক্তির চিকিৎসার খরচ বহন করব,” বলেন আইওসিএল-এর ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া, এই দুর্ঘটনার পর গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে শোধনাগারগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করার কথা ভাবা হচ্ছে। আগুনের ঘটনায় প্রাণহানির জন্য গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবার ও আহতের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে স্থানীয় মানুষ।