বুস্টার ডোজ নিতে লাগবে না কোমর্বিডিটির প্রমাণপত্র জানাল কেন্দ্র

News Desk: করোনাযোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মী এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের করোনার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর…

vaccine

short-samachar

News Desk: করোনাযোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মী এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের করোনার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দু’দিন পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন প্রবীণ নাগরিকদের দুটি টিকা নেওয়ার পর বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তবে তাঁদের কোমর্বিডিটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র পেশ করতে হবে। অর্থাৎ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দাখিল করলে তবেই মিলবে বুস্টার ডোজ। 

   

কিন্তু মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক নিজেদের সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে গেলে কোমর্বিডিটি সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করার প্রয়োজন হবে না। প্রমাণপত্র ছাড়াই কোমর্বিডিটির সমস্যায় ভোগা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিরা অনায়াসেই তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাঁদের চিকিৎসক বা হাসপাতালের কোন প্রমাণপত্র দাখিল করার প্রয়োজন হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই ঘোষণাকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।

কোমর্বিডিটি বা জটিল সমস্যায় ভোগা অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা হয়তো নিয়মিত চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন করিয়ে নিয়ে এসে ওষুধ খান না। একবার প্রেসক্রিপশন করার পর তাঁরা সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়ে চলেছেন। তাই কেন্দ্রের আগের নির্দেশে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই সমস্যায় পড়তেন। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকায় তাদের সেই সমস্যা কেটে গেল। উল্লেখ্য, টিকাকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি কমিটি আছে। এই কমিটির পরামর্শ মেনেই ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে প্রবীণ মানুষদের দ্রুত দেওয়ার বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরইমধ্যে রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে কেজরিওয়াল সরকার দিল্লিতে জারি করল হলুদ সর্তকতা। একই সঙ্গে বেশ কিছু নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেজরি সরকার। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী বেশ কিছুদিন প্রতিটি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ করতে হবে। স্কুল-কলেজ, জিম সিনেমা হল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। শপিং মল এবং অন্যান্য সাধারণ দোকান গুলি জোর-বিজোড় হিসেবে খোলা থাকবে। দোকান খোলার সময় সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা। রাত ১০টার পর বন্ধ রাখতে হবে রেস্তোরাঁ। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কারফিউ।