উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকা পড়া ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে নতুন করে ধস নামে। তাতে কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে উদ্ধার কাজ। উদ্ধারকাজ চলাকালীন ধস নামে। যারফলে ভেঙে যায় ড্রিলিং মেশিন এবং এর প্লাটফর্ম। আহত হন দুই উদ্ধারকারী।
উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ইস্পাতের পাইপ ঢোকানোর জন্য অগার ড্রিলিং মেশিনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করেছিল, কিন্তু মঙ্গলবার রাতে একটি নতুন করে ভূমিধ্বস দেখা দেওয়ায় তাদের মেশিনটি ভেঙে যায়। আবার নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে ধস নামায় দুইজন উদ্ধারকর্মী আহত হয়, যাদেরকে ঘটনাস্থলে তৈরী করা অস্থায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরকাশী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক রুহেলা এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকদের জন্য একটি ‘অগার মেশিনের’ সাহায্যে পাইপ ঢোকানোর জন্য খনন শুরু হয়েছে।সবকিছু যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, তাহলে আটকে পড়া শ্রমিকদের বুধবারের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। সুড়ঙ্গটি পরিদর্শন করার পর এবং ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অপারেশন সম্পর্কে আপডেট নেওয়ার পর তিনি বলেছিলেন।
তবে, ভূমিধসের ফলে উপর থেকে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়, যার ফলে উদ্ধার কাজ চলাকালীন ধস নামে বলে খবর। সেই সময় প্রাণে বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করে উদ্ধারকারী সদস্যরা। তখন পদপিষ্ট হয়ে দুই শ্রমিক আহত হন।
বুধবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। পুনরায় একটি নতুন ড্রিলিং মেশিন স্থাপনের জন্য প্ল্যাটফর্ম সমান করার কাজ চলছে। ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে ৯০০ মিমি পাইপটি প্রবেশের চেষ্টা চলছে।শ্রমিকদের দিয়ে আসার জন্য যা যথেষ্ট প্রশস্ত হবে।প্ল্যাটফর্মটি শক্তিশালী করার জন্য কংক্রিটের কাজও চলছে।
উত্তরাখণ্ডের জরুরি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে, ছয় মিটার দৈর্ঘ্যের আটটি ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের পাইপ এবং একই দৈর্ঘ্যের ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের পাঁচটি পাইপ রয়েছে।যেগুলি উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় মহাসড়কের সিল্কিয়ারা ও দন্ডালগাঁওয়ের মধ্যে নির্ণীয়মান সুড়ঙ্গের একটি অংশ ধসে অন্তত ৪০ জন শ্রমিক আটকে গিয়েছিলেন।