Uttarkashi: দাবানল ঢুকছে উত্তরকাশীতে, গঙ্গাতীরের জনপদে ভয়াবহ পরিস্থিতি

অভিজিত চ্যাটার্জি (পর্বতারোহী): রাতে জ্বলছিল পাহাড়ি বনভূমি। আগুনের শিখা দূর থেকে দেখে শিউরে উঠেছি। সকালে দেখছি ধোঁয়া আর ধোঁয়া। দেশের অন্যতম শৈলশহর উত্তরকাশীর (Uttarkashi) দিকে…

অভিজিত চ্যাটার্জি (পর্বতারোহী): রাতে জ্বলছিল পাহাড়ি বনভূমি। আগুনের শিখা দূর থেকে দেখে শিউরে উঠেছি। সকালে দেখছি ধোঁয়া আর ধোঁয়া। দেশের অন্যতম শৈলশহর উত্তরকাশীর (Uttarkashi) দিকে ক্রমে এগিয়ে আসছে জঙ্গলের আগুন। এ আগুন নেভানোর ক্ষমতা একমাত্র প্রকৃতির। যদি মেঘাসুর গর্জনর করে। যদি সেই গর্জনে বৃষ্টি নামে তবেই ভীষণ অগ্নিবলয়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে চলেছে গঙ্গা তীরের প্রাচীনতম জনপদ উত্তরকাশী।

পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম পর্বতারোহী অভিজিত চ্যাটার্জির অভিজ্ঞতায় উত্তরকাশীর পরিস্থিতি পাঠকদের কাছে তুলে ধরল Kolkata 24×7

   

শুক্রবার থেকে আগুনের ঘেরাটোপে উত্তরকাশীর বনাঞ্চল। শনিবার সকালে শহরবাসীর মুখ চোখে আতঙ্ক। কারণ, দাবানলের পরিধি বাড়ছে। দিন কয়েক হল একটি পর্বতাভিযান শেষ করে উত্তরকাশীতে আছি। এর মধ্যেই হিমালয়ের দাবানল দেখলাম। দুর্গম হিমবাহ, পাহাড়ি ধস দেখে অন্তস্থ। এবার দেখছি হিমালয়ের আগুন চোখ!

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কারনে হিমালয়ের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত কয়েকদিন উত্তরকাশীর দিকে বৃষ্টি নেই। ৩৩-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্থানীয় মানুষের কষ্ট বেড়েই চলেছে। সেই সময় শুরু হয়েছে এই অঞ্চলে পাহাড়ে আগুন। বেশ কয়েকটি পাহাড়ে এমন আগুন লেগেছে, বা লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আকাশ ছেয়ে আছে কালো ধোঁয়ায়। যতক্ষন না বৃষ্টি নামে এত আগুন নিভবে কি করে জানা নেয়। এদিকে এখন চলছে চারধাম যাত্রা। এই বছর এমনিতে মানুষের ভীড়ে হিমসিম খাচ্ছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। তার উপর এই আগুন আর এক সমস্যায় ফেলেছে রাজ্য সরকারকে।

বৃহস্পতিবার উত্তরকাশী জেলা সদরে অবস্থিত মুখেম রেঞ্জের জঙ্গলে হঠাৎ আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে কুটেটি আবাসিক কলোনীর দিকে যেতে থাকে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার, ফরেস্ট ও ডিজাস্টার টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে দাবি বন দফতরের।

উত্তরকাশী বন বিভাগের অন্তর্গত মুখেম, দুন্ডা এবং ধারাসু রেঞ্জের জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এখানে দুন্ডা রেঞ্জের ধানারি এলাকায় অবস্থিত সিঙ্গুনি, ধুঙ্গি, বাইজকোট ও ভবন গ্রামের উপরে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডে পাইন, ওক, বুরাংশ, ভামোর, কাইল, দেওদার প্রভৃতি গাছ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণীও বিপাকে পড়েছে। আগুনের ধোঁয়ায় এলাকার মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সদরের সামনের মুখেম রেঞ্জের কুটেটির পাশের জঙ্গলে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে আবাসিক কলোনির দিকে যেতে থাকে। খবর পেয়ে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা ও বন দফতরের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে ব্যস্ত। বনকর্মীরা বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।