উত্তরাখণ্ড সরকার (Uttarakhand) বুধবার সচিবালয়ে গভর্নমেন্ট দুন মেডিকেল কলেজ, গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হলদ্বানি এবং সেবাদান আরোগ্য সংস্থার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই সমঝোতা স্মারকটি হলদ্বানি এবং দেহরাদুনের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে রোগীদের সঙ্গীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর (সিএমও) থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সুবিধা উন্নত করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই মেডিকেল কলেজগুলিতে রোগীদের সঙ্গীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হবে। ভর্তি রোগীদের সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদের রাত্রিবাস এবং থাকার সমস্যার সমাধান হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ধামি সেবাদান আরোগ্য সংস্থাকে কিছায় অবস্থিত এইমস স্যাটেলাইট সেন্টারেও এই ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান, যার সঙ্গে সংস্থাটি সম্মত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেবাদান আরোগ্য ফাউন্ডেশন হলদ্বানি এবং দেরাদুনের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে রোগীদের সঙ্গীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করবে।
উভয় মেডিকেল কলেজে ৩৫০ বেডের বিশ্রামাগার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিশ্রামাগারগুলিতে (নৈশ আশ্রয়) প্রতি শয্যার জন্য ৫৫ টাকা হারে ডরমিটরি এবং প্রতি কক্ষের জন্য ৩০০ টাকা হারে দুই শয্যার কক্ষ রাত্রিবাসের জন্য প্রদান করা হবে। এছাড়া, সকালের জলখাবার ২০ টাকায় এবং খাবার ৩৫ টাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া হবে।
এই বিশ্রামাগারগুলির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেবাদান আরোগ্য ফাউন্ডেশনের হাতে থাকবে। গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ দেরাদুন ১৭৫০ বর্গমিটার এবং গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হলদ্বানি ১৪০০ বর্গমিটার জমি এই বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য প্রদান করবে। এই সমঝোতা স্মারকটি আগামী ২০ বছরের জন্য বৈধ থাকবে।
এই উদ্যোগ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রোগীদের সঙ্গীদের জন্য রাত্রিবাসের সুবিধা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা তাদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমাবে। এই বিশ্রামাগারগুলি রোগীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুবিধাজনক থাকার জায়গা প্রদান করবে, যা বিশেষ করে দূরবর্তী এলাকা থেকে আগত পরিবারগুলির জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ধামি জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে নথিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা সংঘটিত গুরুতর অনিয়ম এবং জাল নথি ব্যবহার করে বৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছেন। তিনি এই বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে মাদ্রাসা, সংস্কৃত বিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, জাল নথির ভিত্তিতে সংখ্যালঘু বৃত্তি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্নীতিবাজদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।
২৯ জুলাই সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিশেষ আলোচনা, মোদীর উপস্থিতির দাবি বিরোধীদের
এই দুটি পদক্ষেপ উত্তরাখণ্ড সরকারের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। একদিকে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি এবং অন্যদিকে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।