দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডে ফের প্রকৃতির তাণ্ডব। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট মেঘভাঙা বৃষ্টি চামোলি জেলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বুধবার গভীর রাতে নন্দা নগরে প্রবল ধস ও জলধারার তোড়ে ভেঙে পড়েছে অন্তত ছ’টি বাড়ি। ধ্বংসস্তূপে এখনো নিখোঁজ অন্তত ১০ জন। দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও, অনেকে এখনও আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা।
প্রতিকূল আবহাওয়া উদ্ধারকাজে বেগ
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, রাতভর উদ্ধারকাজ চললেও প্রতিকূল আবহাওয়া এবং ক্রমাগত বৃষ্টি তাতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিক্যাল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু আবহাওয়া দফতর চামোলি জেলায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, ফলে বিপদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, একাধিক পরিবার এখনও নিজেদের বাড়িতেই আটকে রয়েছে। মাত্র চার দিন আগে দেরাদুনে একই ধরনের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১৩ জনের। ভেসে গিয়েছিল রাস্তা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাড়ি ও দোকানপাট। ভেঙে পড়েছিল দুটি সেতু, ফলে রাজধানীর সঙ্গে আশপাশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জারি রেড অ্যালার্ট Uttarakhand cloudburst landslides
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার দেরাদুন, চাম্পাওয়াত ও উদ্যম সিং নগরে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও প্রাণহানি ও ভূমিধসের পাশাপাশি পরিকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড জুড়ে নিখোঁজ রয়েছেন মোট ১৫ জন, বিপর্যস্ত অবস্থায় আটকে পড়েছেন ৯০০-র বেশি মানুষ। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, প্রশাসনের অগ্রাধিকার হচ্ছে দ্রুত বিদ্যুৎ ও সড়ক সংযোগ পুনরুদ্ধার করা। তাঁর দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের লাইনের প্রায় ৮৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে, বাকিটিও শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশেও প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিন জন। ফলে দুই পাহাড়ি রাজ্যেই দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হচ্ছে।