লখনউ: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে (Uttar Pradesh SIR voter list FIR)। বাংলায় বিরোধিতা হলেও তবে যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে SIR নিয়ে নো কম্প্রোমাইজ। নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (SIR) সমীক্ষার মধ্যে প্রথমবারের মতো মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগে FIR দায়ের হয়েছে।
রামপুর জেলায় এই ঘটনা উঠে এসেছে, যেখানে একজন মা তার দুই ছেলের জন্য ফর্ম পূরণ করে ভোটার তালিকায় নাম রাখার চেষ্টা করেছেন, যদিও ছেলেরা কয়েক বছর ধরে দুবাই ও কুয়েতে বসবাস করছেন। এই ঘটনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সতেজতা রক্ষায় সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রথম বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপে এখন তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবারের ছুটির সকালে ভূমিকম্পে কাঁপল প্রতিবেশী দেশ
ঘটনার সূত্রপাত রামপুরের জওয়ালা নগর এলাকায়। নূর জাহান নামের একজন বাসিন্দা তার দুই ছেলে আমির খান (ভোটার নম্বর ৬৪৫) ও দানিশ খান (ভোটার নম্বর ৬৪৮)-এর পক্ষে SIR ফর্ম পূরণ করেন। ফর্মে তিনি দাবি করেন যে ছেলেরা এখনও ভারতে বাস করছেন এবং রামপুরের স্থানীয় ঠিকানায় থাকেন।
কিন্তু ডিজিটাইজেশনের সময় বুথ লেভেল অফিসার (BLO) নিতিন অগরওয়ালের পরীক্ষায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ফর্মে ছেলেদের স্বাক্ষরের পরিবর্তে নূর জাহানের স্বাক্ষর ছিল, এবং তথ্য যাচাই করতে গিয়ে জানা যায় যে আমির কয়েক বছর ধরে দুবাইয়ে এবং দানিশ কুয়েতে চাকরি করে থাকেন। তারা রামপুরের ঠিকানায় বাস করে না। সুপারভাইজার দীনেশ কুমার এই অভিযোগটি তুলে ধরেন, যার ফলে সিভিল লাইন্স থানায় FIR দায়ের হয়।
রামপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অজয় কুমার দ্বিবেদী এই ঘটনাকে ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “SIR জরিপটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও গুরুত্বের সঙ্গে চালানো হচ্ছে। অ্যাসেম্বলি কনস্টিটুয়েন্সি ৩৭-এর পার্ট নম্বর ২৪৮-এ ফর্ম ডিজিটাইজ করার সময় এই কেসটি ধরা পড়েছে। ভোটাররা তাদের সাধারণ বাসস্থান থেকে ফর্ম জমা দিতে বাধ্য, এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়া নির্বাচন আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।”
DM-এর নির্দেশে FIR ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এবং প্রতিনিধিত্বমূলক মানুষ আইনের ধারা ৩১-এর অধীনে দায়ের হয়েছে। এতে জালিয়াতি, মিথ্যা স্বাক্ষর এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ এখন তদন্ত করে তাদের সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন যাচাই করবে, এবং প্রয়োজনে ছেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
