ইরান, চিনের পর এ বার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। সেই দুশ্চিন্তা থেকেই এ বার ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা জানিয়ে সতর্ক করল আমেরিকা। কারণ নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আমেরিকার কপালে।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঙ্ক প্রায় ৮৪ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে ভারত।
বন্যা কূটনীতি! ‘বাঁধ খোলা’ বিতর্কে বাংলাদেশকে জবাব দিল ভারত
যে ভারতীয় সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে এই ধরনের বাণিজ্যের প্রয়াস চালাবে, উভয় সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে হলে সতর্ক করেছে আমেরিকা। ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন।
বন্যায় ত্রিপুরা-বাংলাদেশ ডুবছে, এপারে পানীয় জল সংকট-ওপারে ‘পানি চাই’ হাহাকার
বিগত দুবছরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক রীতিমতো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল আমদানি নিয়ে ঘোর আপত্তি তোলে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলি। ইউক্রেনীয়দের রক্তের বিনিময় তেল নিচ্ছে ভারত, এমনটা দাবি করে ইউক্রন। গতবছর জি-২০ সম্মেলনেও দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জেলেন্সস্কিকে। যা নিয়েও আমেরিকাসহ পশ্চিমীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল নয়াদিল্লিকে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গোটা বিশ্বে নিজেদের পক্ষে দল ভারী করতে ‘কূটনৈতিক মেরুকরণে’র চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল আমেরিকা ও পশ্চিমী জোট।
মোদী জমানায় যুদ্ধাস্ত্র রফতানিতে বিরাট লাফ! এশিয়া-আফ্রিকায় বাড়ছে অস্ত্র সরবরাহ
সেইসময় থেকেই লাগাতার ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ার জন্য ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে গিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্কের জেরে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছিল নয়াদিল্লি। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল আমেরিকা সহ পশ্চিমী জোট। কূটনৈতিক মহল সূত্রে জানা যায়,এবার বিশেষ অস্ত্র সামগ্রী রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের ওপর নানান কৌশলে চাপ বাড়ানোর চেষ্টাও করেছে হোয়াইট হাউজ।