রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করলেই ভারতের সঙ্গে শুল্ক-সমাধানের আলোচনায় বসবে আমেরিকা: লুৎনিক

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব-সুলভ বয়ানের জবাবে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের পর শুল্ক-যুদ্ধের আবহে ভারত আমেরিকার মধ্যে বরফ গলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতকে…

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করলেই ভারতের সঙ্গে শুল্ক-সমাধানের আলোচনায় বসবে আমেরিকা: লুৎনিক

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব-সুলভ বয়ানের জবাবে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের পর শুল্ক-যুদ্ধের আবহে ভারত আমেরিকার মধ্যে বরফ গলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতকে আমেরিকার “সর্বদা বন্ধু” বলে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প। তার প্রত্যুত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবেগকে মর্যাদা এবং সম্মান জানিয়ে এক্স-এ পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদী।

তবে রাশিয়ার তেল কেনার শাস্তি বাবদ ভারতের উপর চাপানো ৫০% শুল্ক বিষয়ক আলোচনা ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করলেই হবে বলে ইঙ্গিত করলেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব হওয়ার্ড লুৎনিক। মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে সমাধানের আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তা সম্ভব হবে ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করলেই”।

   

এর আগে ভারতকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন বাণিজ্য সচিব বলেছিলেন, “যা হওয়ার তাই হলো। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্টের সাথে লড়াই করা ভালো। কিন্তু অবশেষে আপনার ব্যবসায়ীরাই আপনাকে এটা বন্ধ করতে বলবে এবং অবশেষে আমেরিকার সাথে চুক্তি করতে হবে।”

Advertisements

প্রসঙ্গত, তিয়ানজিনে জিনপিং, পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের পর থেকে ভারতের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনার একাধিকবার সম্ভাবনার কথা শোনা গেছে আমেরিকার মুখে। কখনও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে তো কখনও হুঁশিয়ারির ছলে শুল্ক-ত্রাসে ভারতকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।

তবে সেইসব হুঁশিয়ারি গ্রাহ্য না করে রাশিয়ার থেকেই স্বল্প মূল্যে তেল কিনবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। লুৎনিক সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, “এক বা দুই মাসের মধ্যে আমেরিকার কাছে ভারত ক্ষমা চেয়ে আলোচনার টেবিলে বসবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেবেন যে তিনি মোদীর সঙ্গে কীভাবে চুক্তিতে এগোবেন।”