চিন, মেক্সিকো-কানাডার সারিতে নয়! আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে ছাড় পেতে পারে ভারত

নয়াদিল্লি: ভারত, আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে কিছুটা ছাড় পেতে পারে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতকে চিন, মেক্সিকো বা কানাডার মতো দেশের সঙ্গে একই রকম…

US tariff reprieve for India

নয়াদিল্লি: ভারত, আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে কিছুটা ছাড় পেতে পারে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতকে চিন, মেক্সিকো বা কানাডার মতো দেশের সঙ্গে একই রকম শুল্ক নীতির আওতায় আনা হবে না। (US tariff reprieve for India)

বাণিজ্য আলোচনা US tariff reprieve for India

ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা এখন পর্যন্ত ভালোভাবেই এগোচ্ছে। ২ এপ্রিলের মধ্যে আমেরিকার পাল্টা শুল্ক আরোপের যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে কোনো বাধা বা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।

   

এই আলোচনায় নতুন এক পদ্ধতি নেওয়া হতে পারে। সূত্র বলছে, নতুন বাণিজ্য পদক্ষেপগুলো ধাপে ধাপে, সেক্টর বাই সেক্টর অনুযায়ী কার্যকর করা হবে। এর মানে হল, যেসব পণ্যের বাণিজ্য বেশি, সেই পণ্যের উপর শুল্ক সামান্য বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু এর ফলে ভারতীয় রপ্তানির উপর শুল্কের প্রভাব কমবে।

Advertisements

ভারতীয় বাণিজ্য কর্মকর্তারা কিছু বিশেষ খাতে শুল্ক কমানোর জন্য জোর দিচ্ছেন, যেগুলি আমেরিকায় বেশি রপ্তানি হয়। আলোচনা এগোচ্ছে ভালোভাবে এবং শিগগিরই একটি চূড়ান্ত চুক্তির রূপরেখা তৈরি হতে পারে।

ভারতের কাছ থেকে আরও কিছু ছাড় চাইছেন US tariff reprieve for India

তবে, আমেরিকার কর্মকর্তারা ভারতের কাছ থেকে আরও কিছু ছাড় চাইছেন। এখন, আমেরিকা তাদের শুল্ক নীতির পুনঃমূল্যায়ন করছে, কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে।

ভারতকে চিন, মেক্সিকো ও কানাডার মতো দেশগুলোর শুল্ক নীতির বাইরে রাখলে, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এটা ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে, যাঁরা শুল্ক বাড়ানোর কারণে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

এছাড়া, গতকাল এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত সরকার ২৩ বিলিয়ন ডলারের আমেরিকান আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর কথা ভাবছে। এই পদক্ষেপটি ভারতের ব্যবসায়ীদের পাল্টা শুল্কের প্রভাব থেকে রক্ষা করবে, যা রপ্তানি খাতকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, নতুন আমেরিকান শুল্ক ভারতীয় রপ্তানি (যার মূল্য প্রায় ৬৬ বিলিয়ন ডলার) এর ৮৭%-এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই ক্ষতি ঠেকাতে, ভারত ৫৫% আমেরিকান আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর কথা ভাবছে, যেগুলোর শুল্ক এখন ৫% থেকে ৩০% এর মধ্যে রয়েছে। কিছু শুল্ক পুরোপুরি কমানো হতে পারে, আবার কিছু শুল্ক হালকা কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে এসব প্রস্তাব এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়া, আমেরিকার একটি প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্বে আছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেনডন লিঞ্চ, বর্তমানে ভারতে বাণিজ্য আলোচনা করছে। এই আলোচনা ২ এপ্রিলের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়ে চলছে, যাতে আমেরিকার পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই একটি সমঝোতা হয়ে যায়।

 

Bharat: India may gain relief from US tariff hikes as trade discussions progress positively. A sector-wise tariff approach is considered, minimizing impact on Indian exports. This move could strengthen India-US trade relations, with final agreements expected soon.