নয়দিল্লি: ভারত সফরে আসছেন আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড৷ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রথম উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ভারত সফরে আসছেন তিনি৷ যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভারত সফরের কথা জানান গ্যাবার্ড৷ সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই তিনি জাপান, হনলুলু এবং ভারত সফর করবেন। সফরের শেষে ফ্রান্সে একটি সংক্ষিপ্ত সফর সারবেন৷ এর পর ওয়াশিংটন, ডি.সি. ফিরে যাবেন। সফরের উদ্দেশ্য হিসেবে গ্যাবার্ড উল্লেখ করেছেন, “শক্তিশালী সম্পর্ক গঠন, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং খোলামেলা যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য”, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি, স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অবদান রাখবে।
গত মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর সফরের দিনই সামরিক কর্মকর্তা থেকে গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে নিয়োগ পান গ্যাবার্ড৷ তুলসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন বলেও পরিচিত৷
ভারত সফর প্রসঙ্গে গ্যাবার্ড বলেন, ‘‘এটা আমার কাছে সম্মানের বিষয়৷ আমি ভবিষ্যতে আমেরিকা ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।”
গ্যাবার্ড সফরের প্রথম পর্বে হাওয়াইয়ের হোনোলুলুতে যাবেন, যেখানে তিনি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড (INDOPACOM)-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং আমেরিকান সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে, তার ভারত সফরের সময়, তিনি ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করবেন। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের সময়ও এই বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছিল। পাকিস্তানের কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিদের তৎপরতা এবং বাংলাদেশে ইসলামিক জঙ্গিদের ক্রমবর্ধমান সক্রিয়তা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষত হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশটির পাকিস্তান প্রীতি এবং আইএসআইয়ের (ISI) তৎপরতা বৃদ্ধি ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। চলতি পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী মার্কিন প্রশাসনের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। এই প্রসঙ্গে গ্যাবার্ডকে আরো তথ্য দেওয়া হবে, যাতে তিনি মার্কিন সরকারের নীতি সংশোধন এবং নতুন উদ্যোগ নিতে সহায়তা করতে পারেন।
গ্যাবার্ডের ভারত সফরের বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে এটি ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।