পটনায় জনতা দল (Urdu TET Protest) বা জেডি(ইউ)-এর প্রধান কার্যালয়ের বাইরে উর্দু শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (TET) বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পরীক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল প্রকাশে দেরির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করেছেন। এই বিক্ষোভের সময় একজন পরীক্ষার্থীকে ‘বিষ’ লেবেলযুক্ত একটি বোতল হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এই ঘটনা যে পরীক্ষার্থীদের হতাশার প্রতিফলন তা বলাই বাহুল্য। এই ঘটনা বিহারের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং সময়োপযোগিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।উর্দু TET পরীক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের অভিযোগ, বিহার স্কুল পরীক্ষা বোর্ড (BSEB) প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বছরে দুবার স্টেট টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (STET) পরিচালনা করছে না।
পরীক্ষার ফলের এই দেরিতে ফলে অনেক পরীক্ষার্থী টিআরই-৪ এবং টিআরই-৫-এ অংশ নিতে পারছেন না, যা তাদের সরকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিক্ষোভকারীরা জেডি(ইউ) অফিসের বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিয়েছেন, যেমন “এসটিইটি ছাড়া ভোট নেই” এবং “ফলাফল প্রকাশ করো, নিয়োগ নিশ্চিত করো”।
এই বিক্ষোভের সময় একজন পরীক্ষার্থীকে হাতে ‘বিষ’ লেবেলযুক্ত একটি বোতল নিয়ে দেখা গেছে। এই ঘটনায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসন। তারা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে, পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হালকা শক্তি প্রয়োগ করেছে এবং কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পটনার ডাকবাংলো ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা যখন পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন, তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিহার সরকার এবং জেডি(ইউ) নেতা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট নীতীশ কুমার এক্স-এ ঘোষণা করেছিলেন যে, টিআরই-৪ ২০২৪ সালে এবং টিআরই-৫ ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে, এবং এসটিইটি শুধুমাত্র টিআরই-৫-এর আগে পরিচালিত হবে।
এই ঘোষণা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি তাদের শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। পরীক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, এসটিইটি পরীক্ষা টিআরই-৪-এর আগে পরিচালিত হওয়া উচিত, যাতে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।এই বিক্ষোভ পটনার ডাকবাংলো ক্রসিং এবং গান্ধী ময়দানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে।
পুলিশ জলকামান এবং লাঠিচার্জ না করলেও, বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টার সময় কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী, অমিত কুমার, বলেন, “আমরা শুধু আমাদের অধিকার চাই। এসটিইটি পরীক্ষা বছরে দুবার হওয়ার কথা, কিন্তু গত দেড় বছরে এটি একবারও হয়নি। এই বিলম্ব আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।”
বিহারের শিক্ষা মন্ত্রী সুনীল কুমার এই বিষয়ে বলেছেন যে, এসটিইটি পরীক্ষা টিআরই-৪-এর শূন্যপদ প্রকাশের পরেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বর্তমানে প্রায় চার লক্ষ পরীক্ষার্থী শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন, এবং এখন পরীক্ষা পরিচালনা করলে নির্বাচন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।
তবে, এই বক্তব্য পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ কমাতে পারেনি।এই ঘটনা বিহারের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে।
রঙিন প্যান্ডেলের শহরে নিউমার্কেটের ফুটপাথে রবিনের সাদা-কালো পুজো!
রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব এবং জন সুরাজ পার্টির প্রশান্ত কিশোরের মতো বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই বিক্ষোভ বিহারের বেকারত্ব এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাগুলির উপর আলোকপাত করেছে, এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এই আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে।