আরব সাগরে তৈরি এ বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়ে সেটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে চলেছে বলে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর – IMD জানিয়েছে।
ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে আজ পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে দমকা হাওয়া বইতে পারে।
মৌসম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্রতর হতে পারে। আরব সাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হলে তার ধ্বংসলীলা আরও বাড়বে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার, সাগরে ৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত খুব উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ প্রভাব দেখা যাবে গুজরাতের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে।
আইএমডি বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে, তবে উপকূলীয় অঞ্চলে কিছু শক্তিশালী বাতাস এবং কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের পাকিস্তানে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলেদের সমুদ্র উপকূলে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম বিভাগ। সেই সঙ্গে গুজরাতের সমস্ত বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় গুজরাত সরকারও প্রস্তুতি শুরু করেছে। উপকূলীয় শহরগুলোতে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাগরে উঁচু ঢেউ উঠার সম্ভাবনাও রয়েছে।