প্রধানমন্ত্রী মোদী, যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করায় স্ত্রীকে ‘তালাক’ এক ব্যক্তির!

২২ আগস্ট, ২০১৭ তে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারা জানিয়েছিল যে ওই দিন থেকে কোনও স্ত্রীকে তিন তালাক (Triple Talaq) দিতে পারবেন না কোন…

২২ আগস্ট, ২০১৭ তে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারা জানিয়েছিল যে ওই দিন থেকে কোনও স্ত্রীকে তিন তালাক (Triple Talaq) দিতে পারবেন না কোন মুসলমান স্বামী। ২০২৪ সালে ফের শোনা গেল তিন তালাকের প্রয়োগ। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের এক মুসলিম মহিলা অভিযোগ করেছেন যে অযোধ্যার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করার পরে তাঁর স্বামী তাকে ‘তিন তালাক’ দিয়েছেন। পুলিশ ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।

শাশুড়ি, স্বামী ও অন্যরা তাঁকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামীর পরিবারও তাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছে।

   

একটি প্রতিবেদনে ওই মহিলাকে বলতে শোনা গেছে,“আমি বাহরাইচের থানা জারওয়াল রোডের মহল্লা সরাইয়ের বাসিন্দা। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে, আমি অযোধ্যার কোতোয়ালি নগরের মহল্লা দিল্লি দরওয়াজার বাসিন্দা ইসলামের ছেলে আরশাদেকে বিয়ে করি। আমার বাবা উভয় পক্ষের সম্মতিতে এবং তাঁর সামর্থ্যের চেয়ে বেশি খরচ করে আমার বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর আমি যখন শহরে বের হতাম, অযোধ্যাধামের রাস্তাঘাট, সৌন্দর্যবর্ধন, উন্নয়ন এবং সেখানকার পরিবেশ আমার খুব ভালো লাগে। এই নিয়ে আমি আমার স্বামীর সামনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করি।”

প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল লোকবোঝাই হেলিকপ্টার!

Advertisements

এই ঘটনার পর, মহিলার অভিযোগ স্বামী তাঁকে তাঁর বাবার বাড়িতে ফেরত পাঠান । স্বামী তাঁর দিকে গরম মুসুর ডালের প্যান ছুঁড়ে মারেন বলে অভিযোগ। জারওয়াল রোড থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ব্রিজরাজ প্রসাদ জানিয়েছেন যে আত্মীয়দের মধ্যস্থতায়, মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতে অযোধ্যায় ফিরে আসেন।

এসএইচও ব্রিজরাজ প্রসাদ জানিয়েছেন যে অভিযোগকারিণীর স্বামী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গালিগালাজ করেন এবং অভিযোগকারিনাকে ‘তালাক, তালাক, তালাক’ উচ্চারণ করে তাঁকে তালাক দেন। মহিলার অভিযোগ, যেদিন মহিলাকে তাঁর স্বামী ডিভোর্স দেন, সেদিন তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর ও করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন যার মধ্যে রয়েছেন ওই নারীর স্বামী আরশাদ, শাশুড়ি রাইশা, শ্বশুর ইসলাম, ভগ্নিপতি কুলসুম, শ্যালক ফারান ও শাফাক, এবং ননদ সিমরান। পুলিশ জানিয়েছে যে মামলাটি লাঞ্ছনা, অপব্যবহার, হুমকি এবং যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইন এবং মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইনের অধীনে দায়ের করা হয়েছে।