যোগী সরকার ঘোষণা করল দিওয়ালি বোনাস, সরকারি কর্মচারীরা পাবেন ৬,৯০৮ টাকা

UP Government Diwali Bonus

উত্তর প্রদেশ সরকার ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের জন্য প্রায় ১৪.৮২ লাখ রাজ্য সরকারি কর্মচারীর জন্য দিওয়ালি বোনাস ঘোষণা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই সিদ্ধান্তকে সরকারি কর্মীদের নিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে এবং দিওয়ালির আনন্দ ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে নেওয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

Advertisements

অর্থ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, বোনাস সর্বোচ্চ মাসিক বেতন ৭,০০০ টাকা ধরে ৩০ দিনের উপস্থিতির ভিত্তিতে হিসাব করা হবে। এর ফলে প্রতিটি যোগ্য কর্মচারী ৬,৯০৮ টাকা বোনাস পাবেন। এই প্রকল্পটি মূলত পে ম্যাট্রিক্স লেভেল ৮-এর কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের মাসিক বেতন ৪৭,৬০০ থেকে ১,৫১,১০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

   

কারা পাবেন সুবিধা?

বোনাসের সুবিধা পাবেন রাজ্য সরকারি দপ্তরের কর্মচারী, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্থানীয় সংস্থা ও সরকারি-সহায়তা প্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। মোট বাজেট এই বোনাসের জন্য ধরা হয়েছে ১,০২২ কোটি টাকা। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই সিদ্ধান্তে কর্মচারীদের প্রতি সরকারের সম্মান প্রকাশ পেয়েছে এবং তাদের পরিবারে উৎসবের আনন্দ ছড়াতে সাহায্য করবে।”

সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বোনাসের প্রদান সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে। আশা করা হচ্ছে এটি অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে, অর্থাৎ দিওয়ালির আগে সম্পন্ন হবে। এই পদক্ষেপে সরকার আশা করছে কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং উৎসবকালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে।

Advertisements

উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের জন্য ফ্রি এলপিজি রিফিল: UP Government Diwali Bonus

সাথে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY) এর নারী সুবিধাভোগীদের জন্যও দিওয়ালি উপহার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ১.৮৬ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় ফ্রি এলপিজি সিলিন্ডার রিফিল পাবেন। এই সুবিধার জন্য প্রথমে ব্যয়কারীকে সিলিন্ডারের টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর সরকার পুরো টাকা সরাসরি তাদের উজ্জ্বলা স্কিমের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত দেবে। এর লক্ষ্য হলো উৎসবের সময় গৃহস্থালির আর্থিক চাপ কমানো।

উৎসবকালীন আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি:

দিওয়ালির আগে বোনাস ও এলপিজি সুবিধা নিশ্চিত করে, উত্তর প্রদেশ সরকার চাইছে সরকারি কর্মচারী ও নিম্ন আয়ের পরিবারের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে। সময়মতো অর্থ বিতরণ ও লক্ষ্যভিত্তিক কল্যাণমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে, সরকার আশা করছে উৎসবকালীন খরচ ও খুশির পরিমাণ বাড়বে।