হোটেল রুমে মহিলার সঙ্গে মত্ত আদিম খেলায়! ধরা পড়ে কী হল পুলিশকর্তার?

পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে অনেক বিখ্যাত মানুষই তাদের জীবনের সর্বস্ব হারিয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন মান সম্মান, কেউ হারিয়েছেন ক্ষমতা, আবার কেউ হারিয়েছেন নিজের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।…

পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে অনেক বিখ্যাত মানুষই তাদের জীবনের সর্বস্ব হারিয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন মান সম্মান, কেউ হারিয়েছেন ক্ষমতা, আবার কেউ হারিয়েছেন নিজের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। এবার উত্তরপ্রদেশে উঠল এক আজব ঘটনা(DGP Extramarital Affair)। পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে পদোন্নতির বদলে ঘটলো পদের ‘অবনতি'(DGP Extramarital Affair)।

সাধারণত সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির পরে সেই পদ কেড়ে নিয়ে পুরনো পদে ফেরত পাঠানোর ঘটনা একটু বিরল। কিন্তু পরকীয়ার অভিযোগ নিয়ে এবার এমনই কড়া মনোভাব দেখালো উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা কৃপা শংকর কেনৌজিয়ার কপাল পুড়েছে এযাত্রায়(DGP Extramarital Affair)। উত্তরপ্রদেশের লখনৌ রেঞ্জের আইজি কড়া শাস্তি ঘোষণা করেছেন এই কানৌজিয়ার জন্য। কৃপা শংকরকে তার ‘প্রোমোটি ডিএসপি’ পদ থেকে সরিয়ে, আবারও তাকে কনস্টেবল পদে ফেরত পাঠানো শুধু নয় রীতিমত তার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে এমনটাই কিন্তু খবর পাওয়া যাচ্ছে।

   

অন্তর্ঘাতেই হার দেবাংশুর? তৃণমূলের রিপোর্টে জলঘোলা কোলাঘাটে!

ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে ওই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে? পুলিশ সূত্রের খবর, ২০২১ সালের ৬ জুলাই পারিবারিক কারণে তৎকালীন উন্নাও পুলিশ সুপারের (এসপি)কাছে ছুটির অনুরোধ করেছিলেন তৎকালীন সার্কেল অফিসার কৃপাশঙ্কর কানৌজিয়া। কিন্তু অভিযোগ, বাড়ি যাওয়ার পরিবর্তে তিনি তার সহকর্মী এক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে কানপুরের কাছে একটি হোটেলে উঠেছিলেন(DGP Extramarital Affair)। শুধু তাই নয়, নজর এড়াতে বন্ধ রেখেছিলেন নিজের মোবাইল ফোন।

ওদিকে স্বামীর সঙ্গে কোনওভাবেই কোনও খোঁজ না পেয়ে কৃপাশঙ্করের উদ্বিগ্ন স্ত্রী উন্নাও এসপির অফিসে যোগাযোগ করেন। তবে কি সার্কেল ইন্সপেক্টর কৃপাশঙ্কর কানৌজিয়া কোনও বিপদের মধ্যে পড়লেন? শেষমেষ উপায় না দেখে দ্রুত কৃপাশঙ্করের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। জানা যায় কৃপাশঙ্করের মোবাইলটি শেষ অব্দি কানপুরের একটি হোটেলে সক্রিয় ছিল। খোজ নিতে সেখানে পৌঁছয় উন্নাও পুলিশের দল।

মমতাকে টেক্কা দিতে সভাপতি পদে মহিলা মুখ আনছে বঙ্গ বিজেপি! দৌড়ে কারা?

এরপরই জানা যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হোটেলের রুমে সেই মহিলা কনস্টেবল-সহ ওই পুলিশ কর্তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের দাবি, আপত্তিকর ওই অবস্থার সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই লখনউয়ের আইজি ওই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এদিকে ততদিনে প্রোমোশন পেয়ে সার্কেল ইন্সপেক্টর থেকে প্রোমোটি ডিএসপি হয়েছিলেন কৃপাশঙ্কর। কিন্তু সেই পরকীয়ার কুকর্মের শাস্তি হিসাবে এবার তাঁকে আবার কনস্টেবল পদে ফেরানো হল। এখন উন্নাওয়ের বদলে গোরখপুর ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত প্রাক্তন এই প্রোমোটি ডিএসপি!

নিজেরই সহকর্মী লেডি কনস্টেবলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যে এই সর্বনাশ হবে তা বোধ হয় জানতেন না কৃপা শংকর। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশ পুলিশের এরকম বেনজির সিদ্ধান্তে মতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকের মতে, পুলিশ যদি তার নিজের চরিত্রই ঠিক না রাখতে পারে, তাহলে অপরাধীদের চরিত্র ঠিক করবে কি করে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এই কড়া মনোভাব কে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সবাই। তবে এই গল্পের আরেক খলনায়িকা লেডি কনস্টেবলের কপালে কি শাস্তি জুটলো সেই বিষয়ে এখনও কোন কিছু জানা যায় নি।