উত্তর প্রদেশের এন্টি-টেররিজম স্কোয়াড (UP ATS) সাম্প্রতিক একটি অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা প্যালেস্তাইনের জন্য সাহায্যের নামে সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে ক্রাউডফান্ডিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে সেটি ব্যক্তিগত ব্যবহার এবং দেশবিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় করেছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আয়ান, জায়েদ নোতিয়ার এবং আবু সুফিয়ান, যারা মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডি থেকে গ্রেফতার হয়েছে।
এই তিনজন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে, বিশেষ করে ইনস্টাগ্রাম এবং ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে, প্যালেস্তাইনের জন্য খাদ্য, পানি, পোশাক এবং ওষুধ সংগ্রহের জন্য দানের আবেদন জানিয়েছিল। তাঁরা আবেগপূর্ণ ভিডিওগুলি শেয়ার করে মানুষের সহানুভূতি কেন্দ্র করে টাকা সংগ্রহ করেছিল। তবে তদন্তে জানা গেছে, সংগ্রহিত অর্থের একটি বড় অংশ ব্যক্তিগত ব্যবহারে ব্যয় করা হয়েছে এবং এটি প্যালেস্তাইনের প্রকৃত প্রয়োজনীয়দের মধ্যে পৌঁছায়নি।
এউপি এটিএসের মতে, এই অপারেশনটি কেবল একটি জালিয়াতির মামলা নয়, বরং এর সঙ্গে দেশবিরোধী নেটওয়ার্ক এবং অবৈধ বিদেশি ফান্ডিং চ্যানেলগুলির সংযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, এই তিনজনের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন এই অর্থগুলি দেশবিরোধী বা অপরাধী কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এই ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সাহায্য সংগ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকির উদাহরণ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এই ধরনের অর্থ সংগ্রহের পদ্ধতি প্রায়ই অপব্যবহারের শিকার হয়, বিশেষ করে যখন এটি আন্তর্জাতিক কারণে ব্যবহৃত হতে চায়। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডিসেন্ট্রালাইজড ফান্ডরেইজিং পদ্ধতিগুলি প্রতারকদের হাতে পড়ার ঝুঁকি বহন করে, এবং এই কারণে স্পষ্ট নিয়মকানুন ও স্বচ্ছতার প্রয়োজন।
এই গ্রেফতারটি দেশের নিরাপত্তা এবং সামাজিক সংহতি রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এউপি এটিএসের এই অভিযানটি দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করেছে। এই ধরনের ঘটনা থেকে শেখা যায় যে, মানবিক কারণে সাহায্য সংগ্রহের নামে যে কেউ দেশবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হতে পারে, এবং সেই কারণে সর্বদা সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
⚡ UP ATS has arrested Mohammad Ayan, Zaid Notiyar & Abu Sufiyan from Bhiwandi, Maharashtra for siphoning lakhs raised via crowdfunding in the name of Palestine.
Funds meant for “aid” were reportedly diverted for personal use & anti-national activities. pic.twitter.com/ROJf26igxp
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) September 21, 2025
এই ঘটনাটি দেশের মানুষের মধ্যে একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে: কি ভাবে নিশ্চিত করা যাবে যে, সাহায্যের নামে সংগ্রহিত অর্থ সত্যিই প্রয়োজনীয়দের মধ্যে পৌঁছাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য সরকারি এবং অলাভজনক সংস্থাগুলির মধ্যে আরও সহযোগিতার প্রয়োজন। এছাড়া, সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় আরও কঠোর নিয়মকানুন প্রয়োগ করা উচিত, যাতে এই ধরনের প্রতারণা বন্ধ হতে পারে।
এই ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্য সংগ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত বিশ্বাসের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
