৬টি রাজ্যে ১১,১৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি রেল প্রকল্পের অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

Union Cabinet: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet) চারটি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পের অনুমোদন দিল। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ১৩টি…

Tatkal Ticket Scam Exposed

Union Cabinet: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet) চারটি মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পের অনুমোদন দিল। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ১৩টি জেলা জুড়ে অনুমোদন হয়েছে এই ৪টি প্রকল্প। এর ফলে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বিদ্যমান নেটওয়ার্ক প্রায় ৫৭৪ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ৫৭৪ কিমি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ হবে। এছাড়াও ৬টি রাজ্যে নতুন লাইন স্থাপনও হবে। এই প্রকল্পের মোট আনুমানিক খরচ ১১,১৬৯ কোটি টাকা এবং ২০২৮-২৯ এর মধ্যে শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান যে এই প্রকল্পগুলো নির্মাণের সময় প্রায় ২২৯ লাখের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে। এই প্রোজেক্টগুলি হচ্ছে – ইতার্শি-নাগপুর ৪র্থ লাইন, ঔরাঙ্গাবাদ (ছত্রপতি সম্ভাজিনগর)-পার্ভানি ডাবলিং, আলুয়াবাড়ি রোড-নিউ জলপাইগুড়ি ৩য় এবং ৪র্থ লাইন, এবং ডাঙ্গোয়াপোসি-জারোলি ৩য় এবং ৪র্থ লাইন।

   

অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানান যে এই বর্ধিত লাইন ক্ষমতার ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে গতিশীলতা, যার ফলে ভারতীয় রেলের কর্মক্ষম দক্ষতা এবং পরিষেবা নির্ভরযোগ্যতা উন্নত হবে। কাজ আরও সহজ করা এবং যানজট কমানোর জন্য এই চারটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পগুলি এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষকে “আত্মনির্ভর” করে তুলবে, যা তাদের কর্মসংস্থান/স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।

অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “প্রকল্পগুলি প্রধানমন্ত্রী-গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল সমন্বিত পরিকল্পনা এবং অংশীদারদের পরামর্শের মাধ্যমে বহু-মডেল সংযোগ এবং লজিস্টিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। এই প্রকল্পগুলি মানুষ, পণ্য এবং পরিষেবার চলাচলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ প্রদান করবে।“

Advertisements

প্রস্তাবিত মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পটি ২,৩০৯টি গ্রামের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি করবে, যার জনসংখ্যা প্রায় ৪৩.৬০ লক্ষ। বৈষ্ণব উল্লেখ করেন যে, কয়লা, সিমেন্ট, ক্লিংকার, জিপসাম, ফ্লাই অ্যাশ, কন্টেইনার, কৃষি পণ্য এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের মতো পণ্য পরিবহনের জন্য এগুলি অপরিহার্য রুট।

তিনি জানান, “ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজের ফলে বার্ষিক ৯৫.৯১ মেট্রিক টন (প্রতি বছর মিলিয়ন টন) অতিরিক্ত মাল পরিবহন হবে। পরিবেশবান্ধব এবং শক্তি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে রেলপথ জলবায়ু লক্ষ্য অর্জন এবং দেশের সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করতে, তেল আমদানি (১৬ কোটি লিটার) হ্রাস করতে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন (৫১৫ কোটি কেজি) হ্রাস করতে সহায়তা করবে, যা ২০ কোটি গাছ লাগানোর সমতুল্য।“