কিছু কিছু পর্যটন ক্ষেত্রে হবে ভিসা-ফ্রি।
৫০টি পর্যটন ক্ষেত্রে পার্টনারশিপ মডেলে উন্নয়ন।
২০২৫-২৬ বাজেটে নতুন ঘোষণা, জেলার হাসপাতালগুলিতে ক্যানসার কেয়ার ইউনিট খোলা হবে, যার মাধ্যমে ক্যানসার চিকিৎসায় উন্নতি হবে। ২০০টি নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়া, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যারা কাজ করেন, তাদের অর্থনীতিতে অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার নথিভুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করছে।
এর ফলে প্রায় ১ কোটি গিগওয়ার্কার সরকারি সুবিধা পাবে। এটি তাঁদের কর্মজীবনকে আরও সুরক্ষিত করবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁদের অবদানকে আরও দৃঢ় করবে। এই পদক্ষেপগুলি দেশের স্বাস্থ্য ও শ্রমবাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে
নতুন স্কিম আনা হবে ৫ লক্ষ মহিলা, এসসি ও এসটি-দের জন্য। জানালেন অর্থমন্ত্রী।
ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের লোনের সর্বোচ্চসীমা ৩ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করা হল।
ইউরিয়া প্লান্ট তৈরি করা হবে।
পরিযায়ী হিসেবে কোথাও গিয়ে যাতে কাজ করতে না হয়, তার জন্য গ্রামাঞ্চলে উন্নতির বার্তা নির্মলার।
বিহারে তৈরি হবে মাখানা বোর্ড।
দেশেই উৎপাদন হবে ভোজ্য তেল।
কৃষক, নারী, ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।
আজ সংসদে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী হল দেশ। সকালেই একে একে সংসদে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। আজকের দিনের বৈঠক ছিল মন্ত্রিসভার, যেখানে ১০টা ২৫ মিনিটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় নির্মলা সীতারামনের ২০২৫ সালের বাজেটের প্রস্তাব। কিন্তু, বাজেট পেশের আগেই সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মহাকুম্ভের দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সংসদে সরব হন। তারা দাবী করেন, এই দুর্ঘটনার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, এবং এই ইস্যুকে তারা সংসদে তোলেন। বিরোধীদের এই প্রতিবাদের মধ্যে সংসদে হট্টগোল শুরু হয়। প্রায় একই সময় বাজেট পেশের প্রস্তুতি চলছিল এবং সংসদে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। হট্টগোলের মধ্যে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন।
বাজেট পেশের সময় সংসদে বিরোধীদের প্রতিবাদ, একে অপরকে বিঘ্নিত করতে চেষ্টা করে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবুও, নির্মলা সীতারামন দৃঢ়তার সঙ্গে বাজেটের বিষয়বস্তু পেশ করতে থাকেন। বাজেট পেশের আগে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তা সংসদের পুরো পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে, কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে কিছুটা শান্তি ফিরে আসে।
বিরোধীরা মহাকুম্ভের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, বাজেট নিয়ে তাদের আক্রমণ তীব্র হয়। তারা দাবি করেন যে, সরকারের মনোযোগ দেশের জনগণের সমস্যা ও দুর্ঘটনা থেকে সরিয়ে বাজেটের দিকে চলে গেছে। তবে, সংসদে হট্টগোল এবং বিরোধীদের প্রতিবাদের মাঝেও নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করার দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, সংসদে এই উত্তেজনার পরিবেশে বাজেট পেশ হওয়া এবং বিরোধীদের দাবিগুলির প্রতি প্রতিক্রিয়া, আগামী দিনগুলিতে আরও আলোচনা এবং বিতর্কের সৃষ্টি করবে। তবে, এই ঘটনাগুলো সংসদীয় সঙ্গতির প্রশ্ন তুলছে এবং সরকারের পরিচালনার দিক থেকে বিভিন্ন মতামত উঠে আসছে।