জয়সলমের ও বারমের থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত প্রজেক্টাইল

রাজস্থানের জয়সলমের ও বারমের (jaisalmer-barmer) জেলায় শনিবার সকালে অজ্ঞাত প্রজেক্টাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের ক্রমাগত ড্রোন এবং মিসাইল হামলার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান…

jaisalmer-barmer shelling incedent

রাজস্থানের জয়সলমের ও বারমের (jaisalmer-barmer) জেলায় শনিবার সকালে অজ্ঞাত প্রজেক্টাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের ক্রমাগত ড্রোন এবং মিসাইল হামলার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান এই মুহূর্তে ভারতের বেসামরিক পরিকাঠামোকেও লক্ষ্য করছে। জয়সলমেরের পটোয়ারি সভায় কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা সকালে খবর পেয়েছি। কোনো প্রাণহানি হয়নি। সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মীরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন।”

জয়সলমেরে পুলিশ ঘোষণা করেছে (jaisalmer-barmer)

জয়সলমেরে (jaisalmer-barmer) পুলিশ ঘোষণা করেছে যে লোকজনকে তাদের বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশের ঘোষণায় বলা হয়েছে, “সবকিছু বন্ধ থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাইকে বাড়িতে থাকতে হবে।” এদিকে, বারমেরের গিদা পারেউ এলাকায়ও শনিবার সকালে মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

   

জেলা প্রশাসন পুরো এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং স্থানীয়দের ধ্বংসাবশেষের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হামলা প্রতিহত করেছে, যার ফলে এলাকার মানুষ নিরাপদ বোধ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোহন চৌধুরী জানিয়েছেন, “ধ্বংসাবশেষ সকাল ৪:৪২ মিনিটে পড়ে। আমি তখন জেগে ছিলাম। প্রথমে দুবার জোরে শব্দ হয়, তারপর আলো দেখা যায়। আমার বাড়ি এখান থেকে ৫০০ ফুট দূরে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন

আমরা দৌড়ে এখানে এসে দেখি সামান্য ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দ্বিতীয়টি মন্দিরের কাছে পড়ে, যা এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। তৃতীয়টি মন্দির থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে এবং চতুর্থটি এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পড়ে। আমাদের কোনো ভয় বা আতঙ্ক নেই।” এর আগে, বারমেরে স্থানীয়রা অজ্ঞাত প্রজেক্টাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছিল। বারমেরের উত্তরলাই বিমানবাহিনী ঘাঁটি ও জলিপা সামরিক ঘাঁটির কাছে বালদেব নগর এলাকার বাসিন্দারা শনিবার ভোরে পাকিস্তানের হামলার এই প্রমান প্রত্যক্ষ করেন।

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে। কর্তৃপক্ষ ধ্বংসাবশেষের উৎস শনাক্ত করেনি, তবে স্থানীয়দের মতে, সকাল ৫:১৫ থেকে ৫:৩০-এর মধ্যে জোরে শব্দ শোনা যায় এবং তারপর তারা এলাকায় প্রজেক্টাইলের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে।

পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখা (jaisalmer-barmer) (এলওসি) বরাবর ইতিমধ্যে, পাকিস্তানের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী শনিবার পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা, যেমন প্রযুক্তিগত সুবিধা, কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, রাডার সাইট এবং গোলাবারুদ সংরক্ষণাগারগুলিকে লক্ষ্য করে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পাল্টা হামলা পাকিস্তানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা

এই ঘটনাগুলি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার সর্বশেষ উদাহরণ। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বেসামরিক এলাকায় হামলা এবং সীমান্তে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রতিটি প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে তারা নিরাপদ বোধ করছেন।

জয়সলমের ও বারমেরের (jaisalmer-barmer) ঘটনাগুলি পাকিস্তানের আক্রমণের ধরন এবং ভারতের প্রত্যাঘাতের তীব্রতা প্রকাশ করে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার এবং স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায় যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তবে, পাকিস্তানের এই ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের তুর্কি ড্রোন তো ‘খেলনা’, আসল শক্তি নিহিত বিশ্বের এই ৩টি ড্রোনের মধ্যেই!

ভারত সরকার এবং সেনাবাহিনী

ভারত সরকার এবং সেনাবাহিনী এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। স্থানীয় প্রশাসনও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা সতর্ক রয়েছে। এই ঘটনাগুলি ভারতের সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি এবং দক্ষতার প্রমাণ(jaisalmer-barmer)।

এই পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নেই, বরং তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর ভরসা রেখে তাদের দৈনন্দিন জীবন অব্যাহত রেখেছে। তবে, পাকিস্তানের এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে অঞ্চলের শান্তির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সরকার এই হুমকির মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

Advertisements