বিহারের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহাগঠবন্দনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কংগ্রেস দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের “সুশাসন” মডেলের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়াচ্ছে। রাহুল গান্ধী নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রচারের জন্য ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১২টি নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের জোট অংশীদার আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যৌথ সভাগুলো। কংগ্রেসের মতে, এই যৌথ প্রচারণা এনডিএর জন্য “ডাবল হ্যামার” হিসেবে কাজ করবে। কারণ তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে যে, নির্বাচনী রাজ্যটিতে প্রতি পরিবারের জন্য একটি সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।
কংগ্রেস (Congress) সূত্র জানিয়েছে, শুধুমাত্র বেকারত্ব ও অভিবাসন নয়, ভোটার সংশোধনী বা ভোটার রিভিশন ইস্যুও দল প্রধানভাবে তুলে ধরবে। যদিও নির্বাচন কমিশন এই প্রক্রিয়াকে সফল বলে ঘোষণা করেছে, তবুও কংগ্রেসের কাছে এটি এখনও একটি গুরুতর প্রশ্নের বিষয়। কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা (Voter Adhikar Yatra) পরবর্তীতে যে গতি পেয়েছিল, সেটি আমরা বজায় রাখব। নির্বাচন কমিশন যা বলুক, আমরা এখনও SIR প্রক্রিয়ার পূর্ণ স্বচ্ছতা দেখতে পাচ্ছি না। লক্ষ লক্ষ নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এটি আমাদের এবং বিহারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের এই প্রচার কেবল দলীয় সমর্থকদের মধ্যে নয়, বরং নিরপেক্ষ ভোটারদের মধ্যেও সংলাপ তৈরি করতে পারে।


